Hi

ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পানি সংকট মোকাবেলায় ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৫১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
  • ১০৯ Time View

 ইমাম হাসান জুয়েল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের ৭টি ইউনিয়নে পানি সংকট মোকাবেলায় বর্ধিত সম্প্রদায়ের জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের (Extended Community Climate Change Project) অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রীণ ক্লাইমেট ফান্ডের আর্থিক সহযোগিতায় পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির আয়োজনে এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইমাম, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়, দেশে ২০১০ সালে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ছিল ৫০ ফুট নিচে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০২১ সালে তা আরও নেমে ৬০ ফুটে চলে যায়। একই বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নামে ১৫৩ ফুট গভীরে। বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ১৯৬০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ১৯টি খরা হয়েছে যা দেশের ৪৭ শতাংশ এলাকায় ও ৫৩ শতাংশ জনগণের ক্ষতি হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৮১ সাল থেকে চারটি গুরুতর খরা বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি খাতকে প্রভাবিত করেছে। এমনকি বরেন্দ্র অঞ্চলে এঁটেল মাটির পানি শোষণ ক্ষমতা কম হওয়ায় পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এছাড়াও অগভীর নলকূপে শুষ্ক মৌসুমে পানি ওঠেনা। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে খরার কারণে শস্য উৎপাদন প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ কমেছে, যার বেশিরভাগই বরেন্দ্র অঞ্চলে ঘটেছিল। এমনকি রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭৭ শতাংশ পরিবার খরাজনিত স্বাস্থ্যগত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। প্রকল্পের সহকারী সমন্বয়কারী জানান, প্রকল্পের আওতায় বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে সঞ্চয় বাড়ানো, বৃষ্টির পানি ধরে রাখা, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, পুকুর খনন ও ধানের পরিবর্তে কম পানি লাগে এমন ফসল চাষাবাদে কৃষকদের বিভিন্ন সহযোগিতা ও ঋণ প্রদান করা হবে। রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ১৪টি উপজেলায় ৪ বছর মেয়াদি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. তসিকুল ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছমিনা খাতুনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার ভূমি আঞ্জুমান সুলতানা, প্রয়াসের পরিচালক আলেয়া ফেরদৌস, প্রকল্পের সহকারী সমন্বয়কারী ড. মো. ফিরোজুর রহমানসহ অন্যান্যরা।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে যাত্রিদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন -আব্দুল কুদ্দুস

বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পানি সংকট মোকাবেলায় ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প

Update Time : ১০:৫১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

 ইমাম হাসান জুয়েল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের ৭টি ইউনিয়নে পানি সংকট মোকাবেলায় বর্ধিত সম্প্রদায়ের জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের (Extended Community Climate Change Project) অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রীণ ক্লাইমেট ফান্ডের আর্থিক সহযোগিতায় পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির আয়োজনে এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইমাম, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়, দেশে ২০১০ সালে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ছিল ৫০ ফুট নিচে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০২১ সালে তা আরও নেমে ৬০ ফুটে চলে যায়। একই বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নামে ১৫৩ ফুট গভীরে। বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ১৯৬০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ১৯টি খরা হয়েছে যা দেশের ৪৭ শতাংশ এলাকায় ও ৫৩ শতাংশ জনগণের ক্ষতি হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৮১ সাল থেকে চারটি গুরুতর খরা বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি খাতকে প্রভাবিত করেছে। এমনকি বরেন্দ্র অঞ্চলে এঁটেল মাটির পানি শোষণ ক্ষমতা কম হওয়ায় পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এছাড়াও অগভীর নলকূপে শুষ্ক মৌসুমে পানি ওঠেনা। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে খরার কারণে শস্য উৎপাদন প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ কমেছে, যার বেশিরভাগই বরেন্দ্র অঞ্চলে ঘটেছিল। এমনকি রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭৭ শতাংশ পরিবার খরাজনিত স্বাস্থ্যগত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। প্রকল্পের সহকারী সমন্বয়কারী জানান, প্রকল্পের আওতায় বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে সঞ্চয় বাড়ানো, বৃষ্টির পানি ধরে রাখা, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, পুকুর খনন ও ধানের পরিবর্তে কম পানি লাগে এমন ফসল চাষাবাদে কৃষকদের বিভিন্ন সহযোগিতা ও ঋণ প্রদান করা হবে। রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ১৪টি উপজেলায় ৪ বছর মেয়াদি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. তসিকুল ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছমিনা খাতুনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার ভূমি আঞ্জুমান সুলতানা, প্রয়াসের পরিচালক আলেয়া ফেরদৌস, প্রকল্পের সহকারী সমন্বয়কারী ড. মো. ফিরোজুর রহমানসহ অন্যান্যরা।