Hi

ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পালিচড়ায় নারী ফুটবলারকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৪১ Time View

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ

রংপুর সদর উপজেলার নারী ফুটবল গ্রাম খ্যাত পালিচড়ার নারী ফুটবলারদের (প্রশিক্ষক) কোচ মিলনের বিরুদ্ধে এক নারী ফুটবল খেলোয়ারকে শারীরিক, মানসিক ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে ওই নারী ফুটবলার কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। অনুলিপি পাঠিয়েছে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সাধারণ সম্পাদক জেলা ক্রিড়া সংস্থাকে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী ফুটবলার ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে সদ্যপুস্করিনী যুব স্পোটিং ক্লাবের অধিনে পালিচড়া ষ্টেডিয়ামে ফুটবল প্রশিক্ষণ গ্রহণ শুরু করেন। অনুশীলনের সময় কোচ মিলন বিভিন্ন অজুহাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় অশালিন কথা বার্তা বলেন এবং কু প্রস্তাব দেয়। ওই নারী ফুটবলার লিখেছেন, আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হলে গত ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখ দুপুর আড়াইটার সময় সদ্যপুস্করিনী যুব স্পোটিং ক্লাবের পালিচড়া ষ্টেডিয়ামে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে গেলে কোচ মিলন আমাকে ক্লাবের চাবি দিয়ে ফুটবল আনতে বলে। আমি সরল বিশ্বাসে ক্লাবে গিয়া দেখি ক্লাবের দরজা খোলা। আমি কোচ মিলনকে বিষয়টি জানিয়ে ক্লাবের ভিতর ফুটবল আনতে প্রবেশ করলে কোচ মিলন আকস্মিক ভাবে ক্লাবের ভিতর প্রবেশ করে আমাকে জড়িয়ে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতে থাকে। আমি আপ্রাণ চেষ্ঠা করে নিজে মুক্ত করি। পুনরায় সে হাত ধরে টানতে থাকে। আমি চিৎকার করার কথা বললে সে ছেড়ে দিয়ে আমাকে বেয়াদব মেয়ে বলে গালি দেয়। ওই ঘটনার পর ওই নারী ফুটবলারকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না কোচ মিলন। পরে সে জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ্এ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলামে বিষয়টি অবহিত করে ৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে গেলে তাকে কোচ মিলন অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। পরের দিন প্রশিক্ষণ নিতে গেলে তার পক্ষের হয়ে জৈনিক গোলজার হোসেন তাকে- “আমি এখানে চাকুরী করি । আমি যা বলব তাই হবে” বলে শাসিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, কোচ মিলন ইতোপূর্বে খেলোয়ার রুনা খাতুনের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছিল। হাতে নাতে আটক হয়েছিল। পরে তাকে বাধ্য হয়ে বিয়ে করেছে। এ ব্যাপারে কোচ মিলন জানান, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা। একটি চক্র তার সুনাম ক্ষুন্নের চেষ্ঠা করছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে যাত্রিদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন -আব্দুল কুদ্দুস

পালিচড়ায় নারী ফুটবলারকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

Update Time : ০৩:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ

রংপুর সদর উপজেলার নারী ফুটবল গ্রাম খ্যাত পালিচড়ার নারী ফুটবলারদের (প্রশিক্ষক) কোচ মিলনের বিরুদ্ধে এক নারী ফুটবল খেলোয়ারকে শারীরিক, মানসিক ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে ওই নারী ফুটবলার কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। অনুলিপি পাঠিয়েছে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সাধারণ সম্পাদক জেলা ক্রিড়া সংস্থাকে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী ফুটবলার ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে সদ্যপুস্করিনী যুব স্পোটিং ক্লাবের অধিনে পালিচড়া ষ্টেডিয়ামে ফুটবল প্রশিক্ষণ গ্রহণ শুরু করেন। অনুশীলনের সময় কোচ মিলন বিভিন্ন অজুহাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় অশালিন কথা বার্তা বলেন এবং কু প্রস্তাব দেয়। ওই নারী ফুটবলার লিখেছেন, আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হলে গত ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখ দুপুর আড়াইটার সময় সদ্যপুস্করিনী যুব স্পোটিং ক্লাবের পালিচড়া ষ্টেডিয়ামে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে গেলে কোচ মিলন আমাকে ক্লাবের চাবি দিয়ে ফুটবল আনতে বলে। আমি সরল বিশ্বাসে ক্লাবে গিয়া দেখি ক্লাবের দরজা খোলা। আমি কোচ মিলনকে বিষয়টি জানিয়ে ক্লাবের ভিতর ফুটবল আনতে প্রবেশ করলে কোচ মিলন আকস্মিক ভাবে ক্লাবের ভিতর প্রবেশ করে আমাকে জড়িয়ে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতে থাকে। আমি আপ্রাণ চেষ্ঠা করে নিজে মুক্ত করি। পুনরায় সে হাত ধরে টানতে থাকে। আমি চিৎকার করার কথা বললে সে ছেড়ে দিয়ে আমাকে বেয়াদব মেয়ে বলে গালি দেয়। ওই ঘটনার পর ওই নারী ফুটবলারকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না কোচ মিলন। পরে সে জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ্এ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলামে বিষয়টি অবহিত করে ৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে গেলে তাকে কোচ মিলন অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। পরের দিন প্রশিক্ষণ নিতে গেলে তার পক্ষের হয়ে জৈনিক গোলজার হোসেন তাকে- “আমি এখানে চাকুরী করি । আমি যা বলব তাই হবে” বলে শাসিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, কোচ মিলন ইতোপূর্বে খেলোয়ার রুনা খাতুনের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছিল। হাতে নাতে আটক হয়েছিল। পরে তাকে বাধ্য হয়ে বিয়ে করেছে। এ ব্যাপারে কোচ মিলন জানান, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা। একটি চক্র তার সুনাম ক্ষুন্নের চেষ্ঠা করছে।