Hi

ঢাকা ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অন্যের ইজ্জত রক্ষা – আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের পথ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:১৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩১ Time View

মুফতি মাওলানা শামীম আহমেদ ইসলাম এমন এক পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা যেখানে মানুষের ব্যক্তিগত মর্যাদা ও সম্মান রক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে ঘোষণা করেছেন – “তোমরা একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না, তোমরা কি তোমার মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে ভালোবাসো?” (সুরা হুজুরাত: ১২) এই আয়াত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে, অন্যের সম্মানহানি করা বা গীবত করা একটি ভয়াবহ গুনাহ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন – “মুসলিম সেই ব্যক্তি যার হাত ও জবান থেকে অপর মুসলিম নিরাপদ থাকে।” অর্থাৎ একজন প্রকৃত মুসলিম সেই, যে অন্যের প্রতি কেবল কল্যাণ বয়ে আনে, কখনো তার সম্মানহানি করে না। আজকের সমাজে অনেক সময় ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মানুষের বদনাম ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা ব্যক্তির সম্মান নষ্ট করে এবং সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে। অথচ একজনের ইজ্জত রক্ষা করা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের বড় মাধ্যম। যে ব্যক্তি অন্যের সম্মান রক্ষা করে, আল্লাহ তার সম্মানকে কিয়ামতের দিন রক্ষা করবেন। সুতরাং আসুন, আমরা আমাদের জবান ও সামাজিক আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করি। অন্যের দোষ না খুঁজি, বদনাম না করি। বরং মানুষের ভালো দিকগুলো প্রচার করি। এর মাধ্যমেই আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারব এবং প্রকৃত মুমিন হিসেবে গড়ে উঠতে পারব।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভালুকায় বসত বাড়ীতে হামলা ভাংচুর লুটপাট আহত ৩

অন্যের ইজ্জত রক্ষা – আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের পথ

Update Time : ১০:১৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুফতি মাওলানা শামীম আহমেদ ইসলাম এমন এক পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা যেখানে মানুষের ব্যক্তিগত মর্যাদা ও সম্মান রক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে ঘোষণা করেছেন – “তোমরা একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না, তোমরা কি তোমার মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে ভালোবাসো?” (সুরা হুজুরাত: ১২) এই আয়াত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে, অন্যের সম্মানহানি করা বা গীবত করা একটি ভয়াবহ গুনাহ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন – “মুসলিম সেই ব্যক্তি যার হাত ও জবান থেকে অপর মুসলিম নিরাপদ থাকে।” অর্থাৎ একজন প্রকৃত মুসলিম সেই, যে অন্যের প্রতি কেবল কল্যাণ বয়ে আনে, কখনো তার সম্মানহানি করে না। আজকের সমাজে অনেক সময় ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মানুষের বদনাম ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা ব্যক্তির সম্মান নষ্ট করে এবং সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে। অথচ একজনের ইজ্জত রক্ষা করা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের বড় মাধ্যম। যে ব্যক্তি অন্যের সম্মান রক্ষা করে, আল্লাহ তার সম্মানকে কিয়ামতের দিন রক্ষা করবেন। সুতরাং আসুন, আমরা আমাদের জবান ও সামাজিক আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করি। অন্যের দোষ না খুঁজি, বদনাম না করি। বরং মানুষের ভালো দিকগুলো প্রচার করি। এর মাধ্যমেই আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারব এবং প্রকৃত মুমিন হিসেবে গড়ে উঠতে পারব।