ময়মনসিংহে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়িঘর ভাংচুর, গাছপালা কর্তন এর অভিযোগ
-
Reporter Name
- Update Time : ০৮:১৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- ১১৪ Time View

স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাংচুর ও গাছপালা কর্তন এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০/০১/২০২৩ খ্রী. সকালে ফুলবাড়িয়ার কুশমাইল বুরাইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল এবং তার মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে ১। মোঃ মোশারফ হোসেন (৪০), ২। মোঃ নুরে আলম (৩৮), উভয় পিতা-মৃত সার্জেন্ট (অবঃ) বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন, উভয় সাং- কুশমাইল দুটি পাড়া, থানা-ফুলবাড়ীয়া, জেলা- ময়মনসিংহ সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন কে অভিযুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ফুলবাড়িয়া থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল এর লিখিত অভিযোগে জানায়, অত্র থানাধীন কুশমাইল মৌজায় দাগ নং-২৩৮৬, খতিয়ান নং-১৩৩০, হোল্ডিং নং- ১২৫২, জেএল নং- কুশমাইল ৪০ পরিমাণ-০৩ শতাংশ জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ঘরোয়া বন্টননামা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ঘর নির্মান সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা রোপন করে ভোগদখল থাকাবস্থায়, গত ৩০ জানুয়ারি সোমবার সকালে অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা লাঠি সোঠা নিয়া আমার ভোগদখলীয় জমিতে প্রবেশ করে জোর পূর্বকভাবে ঘর ভাংচুর সহ জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কাটতে শুরু করে।
তখন আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন তাদের কে ঘর ভাংচুর সহ জমিতে থাকা গাছপালা কাটতে বাঁধা প্রদান করলে তারা আমাদেরকে প্রান নাশের হুমকি দিলে প্রানভয়ে আমি আমার পরিবারের লোকজন অন্যত্র -সরে পড়ি। এ সময় অভিযুক্তরা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে এবং আমার জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে, ঘর ভাংচুর করে প্রায় ২০.০০০/-টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমি এর প্রতিবাদ করলে আশেপাশের লোকজন ঘটনা শুনে আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
অপরদিকে অভিযোগ কারী এবং অভিযুক্তদের মা মোছাঃ নুরজাহান বেগম জানান, উল্লখিত ০৩ শতাংশ জমি সম বন্টননামা স্ট্যাম্প করে দীর্ঘদিন যাবত আমার ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল ভোগদখল করে আসছে। উপরোক্ত দাগ এবং সমহারে সকল জমি আমার অন্য ছেলেরা পূর্ব থেকে জোর পূর্বকভাবে বেদখল করে নেওয়ার জন্য পায়তারা করে আসতে থাকে।
উপরন্তু আমার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতার সমস্ত টাকা ব্যাংক থেকে উঠানোর পরেই অভিযোগে উল্লেখিত অভিযুক্তরা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় প্রতি মাসেই এভাবে ০৮ বছর যাবৎ জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছে এবং তাদের ছাড়া কাউকেই মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ভোগ করতে দিবে না যদি কেউ ভোগ দখল করতে চায় তাহলে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিবেএবং খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে।
বিবাদী গণ প্রায় সময় আমাকে বাড়িতে এসে মারধোর করে এলাকাবাসী সবাই এর প্রত্যক্ষদর্শী। এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, দুটি অভিযোগ ই পেয়েছি ঘটনার তদন্ত চলছে।