ময়মনসিংহে হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রশংসায় ভাসছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ
-
Reporter Name
- Update Time : ১১:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
- ১৩৭ Time View

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ।
সখের ও বর্তমান সবার একদম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় জিনিস মোবাইল ফোন। এটা যখন ছিনতাই, ভুলক্রমে বা কোনভাবে হারিয়ে যায় তখন অনেক ধরনের কষ্ট পেতে হয়। যখন এ হারানো মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ প্রশাসন ফোন দিয়ে বলে আপনার ফোনটি পাওয়া গেছে থানায় এসে নিয়ে যান। তখন এমন একটা আনন্দ বোধ হয় যা বলে শেষ করতে পারবো না।
তারপর কোন কিছুই খেয়াল না করে তড়িঘড়ি করে যখন যে অবস্থায় থাকি ঐ অবস্থায় চলে আসি থানায় খোয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি হাতে পাওয়ার জন্য। হারানো মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার সৃষ্টিকর্তার পরেই একমাত্র ভরসা কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ বললেন একজন ভুক্তভোগী। তিনি মোবাইল ফোন হাতে পেয়ে খুব খুশি। দোয়া করেন পুলিশ প্রশাসনের জন্য।
আজ দেখেন সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন হাতে পেয়ে উচ্ছাসিত ১০জন ভুক্তভোগী। তাঁদের এ আনন্দ দেখে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার) একফাঁকে বলেই ফেললো আপনারদের এ আনন্দ দেখে আমিও খুব আনন্দ পাচ্ছি।
ময়মরসিংহে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার যেন মরুভূমিতে সুই খোঁজার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা। সফল হয়ে প্রায় দেড় শতাধিক হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে তুলে দিয়েছেন এ কর্মকর্তা। তিনিই হলেন কোতোয়ালী মডেল থানার এএসআই আমীর হামজা।
হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ বাহিনী এমনকি সাধারণ জনগণের কাছ থেকেও একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছেন এএসআই আমীর হামজা। একদিকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করছে এএসআই আমির হামজা অন্য দিকে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করছেন কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার)।
কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার) বলেন, এএসআই আমীর হামজা প্রযুক্তি সম্পর্কে অনেক দক্ষ। এজন্য থানায় মোবাইল হারানো সংক্রান্ত জিডি হলে ডাক পড়ে এএসআই আমীর হামজার উপরে। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে নিজ দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে অনেক পরিশ্রম করে মরুভূমির মধ্য থেকে সুই খুঁজে বের করার মতো মোবাইলগুলো উদ্ধার করেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, এ বছর জুলাই মাস পর্যন্ত এএসআই আমীর হামজা বিভিন্ন ব্রান্ডের দেড় শতাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেওয়া কয়েকটি ঘটনায় টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকাল সকাল এই হারানো মোবাইল গুলো ফিরিয়ে দিতে পেরে সত্যি ভাল লাগছে ।
কোতোয়ালী মডেল থানার বেশিরভাগ মোবাইল হারানোর জিডি হয় ছাত্র ও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের। সবগুলোই সমান গুরুত্বের সাথেই তাদের হারানো মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। অনেক সময় কিছু মোবাইল ফোন এমন আছে যে তা উদ্ধার করতে বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেক দেরি ও জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়।
এএসআই আমীর হামজা বলেন, অনেক দামি জিনিস হারানোর চাইতে মোবাইল হারানোর কষ্ট অনেক বেশি। কেননা মোবাইলে প্রয়োজনীয় নম্বর থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। জিডি করার পর ফোন উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফোন দিলে তারা অনেকে বিশ্বাসই করতে চান না। মোবাইল নেওয়ার সময় অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
এদিকে আজ মঙ্গলবার ঘুম ভাঙ্গার আগেই সকাল সকাল ১০টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে ভুক্তভোগী প্রকৃত মালিকের হাতে ফেরত দেয়ার খবর ময়মনসিংহ নগরীতে ছড়িয়ে পড়ায় প্রশংসায় ভাসছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।