Hi

ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে খোয়া যাওয়া ১৫টি মোবাইল উদ্ধার করলো কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২
  • ১৪৬ Time View

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান (পিপিএম-সেবা)(অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত) এর দিক-নির্দেশনায় কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএমবার) এর নির্দেশে অপরাধ নির্মূল ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রতিদ নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।

এরই অংশ হিসেবে আজ বুধবার (১০ আগস্ট ২০২২) তারিখ সকাল পর্যন্ত কোতোয়ালী মডেল থানায় জিডিকৃত হারিয়ে বা খোয়া যাওয়া ১৫টি মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে মোবাইলগুলো ফিরিয়ে দিয়েছেন কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার)। এদিকে দীর্ঘদিন পর হারানো মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে খুশি মোবইল ফোনের প্রকৃত মালিকগণ।

জানা গেছে, কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার) এর নির্দেশে কোতোয়ালী মডেল থানার এএসআই আমীর হামজার মাধ্যমে এই মোবাইল গুলো উদ্ধার হয়। আজ বুধবার সকালে কোতোয়ালী মডেল থানার (ওসি) শাহ্ কামাল আকন্দ প্রকৃত মোবাইল মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। খোয়া যাওয়া মোবাইলের মালিকগণ তাঁদের মোবাইল ফোনটি হাতে পেয়ে খুব খুশি।

খোয়া যাওয়া মোবাইলের মালিকগণের মধ্য হতে রাজমিস্ত্রী হাসান মিয়া বলেন, আমি গরিব মানুষ, কিছু কিছু টাকা জমিয়ে খুব কষ্ট করে মোবাইল কিনেছিলাম। তিনি ধরেই নিয়েছিলেন ফোনটি আর ফিরে পাবেন না। কিন্তু ৫ মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর ফোন উদ্ধার করতে পারায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

ছোয়া মণি বলেন, ১ মাস আগে আমার মুঠোফোন হারিয়ে যায়, অনেক খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। হঠাৎ করে গতকাল কল দিয়ে জানানো হয়েছে যে আমাদের ফোন পাওয়া গেছে। হারানো মুঠোফোন আজ হাতে পেলাম। পুলিশের এই তৎপরতায় আমরা খুব খুশি। এএসআই আমীর হামজাকে ধন্যবাদ জানাই।

এদিকে ওসি মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ বলেন, বেশিরভাগ মোবাইল হারানো এবং চুরির ঘটনা থানায় অভিযোগ হলে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করি। হারানো বা চুরি হওয়া মোবাইলগুলো জেলার ভেতরে থাকলে উদ্ধার করা সহজ হয়। বাহিরের জেলা হলে বিষয়টি সময় সাপেক্ষ হয়ে যায়। অপরাধ দমন ও মানুষের সেবা দানের ক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মুঠোফোন উদ্ধারসহ অপরাধীদের শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। কোতোয়ালী পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এএসআই আমীর হামজা বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। তারপরও আমরা পেশাদার। অভিযোগ পেলে হারানো বা খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করি। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অনেক মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিয়েছি।

এছাড়াও হারিয়ে যাওয়া প্রকৃত মোবাইল মালিকরা হলেন ফারুক, ছোয়া মণি (ছাত্রী), বিল্লাল মাকসুদুর, নাঈমুর, হাসান মিয়া (রাজমিস্ত্রী) কুদ্দুস, আরিফ (অটোচালক), আনোয়ারুল ইসলাম, হাসান মিয়া, সম্পা সরকার, নারী উদ্যোক্তা, ইসতিয়াক, মিজান, সেলিম, বদরুল আমিন, (সাংবাদিক) হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফেরত পেয়ে তাদের সকলের চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক। পরিশেষে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন খোয়া যাওয়া ১৫টি মোবাইল ফোনের প্রকৃত মালিকগণ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

আখতারুল আলম ফারুক দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোনীত হওয়ায় ও ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-শাহীনুর মল্লিক জীবন

ময়মনসিংহে খোয়া যাওয়া ১৫টি মোবাইল উদ্ধার করলো কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ

Update Time : ১১:৩৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান (পিপিএম-সেবা)(অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত) এর দিক-নির্দেশনায় কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএমবার) এর নির্দেশে অপরাধ নির্মূল ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রতিদ নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।

এরই অংশ হিসেবে আজ বুধবার (১০ আগস্ট ২০২২) তারিখ সকাল পর্যন্ত কোতোয়ালী মডেল থানায় জিডিকৃত হারিয়ে বা খোয়া যাওয়া ১৫টি মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে মোবাইলগুলো ফিরিয়ে দিয়েছেন কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার)। এদিকে দীর্ঘদিন পর হারানো মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে খুশি মোবইল ফোনের প্রকৃত মালিকগণ।

জানা গেছে, কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার) এর নির্দেশে কোতোয়ালী মডেল থানার এএসআই আমীর হামজার মাধ্যমে এই মোবাইল গুলো উদ্ধার হয়। আজ বুধবার সকালে কোতোয়ালী মডেল থানার (ওসি) শাহ্ কামাল আকন্দ প্রকৃত মোবাইল মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। খোয়া যাওয়া মোবাইলের মালিকগণ তাঁদের মোবাইল ফোনটি হাতে পেয়ে খুব খুশি।

খোয়া যাওয়া মোবাইলের মালিকগণের মধ্য হতে রাজমিস্ত্রী হাসান মিয়া বলেন, আমি গরিব মানুষ, কিছু কিছু টাকা জমিয়ে খুব কষ্ট করে মোবাইল কিনেছিলাম। তিনি ধরেই নিয়েছিলেন ফোনটি আর ফিরে পাবেন না। কিন্তু ৫ মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর ফোন উদ্ধার করতে পারায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

ছোয়া মণি বলেন, ১ মাস আগে আমার মুঠোফোন হারিয়ে যায়, অনেক খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। হঠাৎ করে গতকাল কল দিয়ে জানানো হয়েছে যে আমাদের ফোন পাওয়া গেছে। হারানো মুঠোফোন আজ হাতে পেলাম। পুলিশের এই তৎপরতায় আমরা খুব খুশি। এএসআই আমীর হামজাকে ধন্যবাদ জানাই।

এদিকে ওসি মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ বলেন, বেশিরভাগ মোবাইল হারানো এবং চুরির ঘটনা থানায় অভিযোগ হলে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করি। হারানো বা চুরি হওয়া মোবাইলগুলো জেলার ভেতরে থাকলে উদ্ধার করা সহজ হয়। বাহিরের জেলা হলে বিষয়টি সময় সাপেক্ষ হয়ে যায়। অপরাধ দমন ও মানুষের সেবা দানের ক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মুঠোফোন উদ্ধারসহ অপরাধীদের শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। কোতোয়ালী পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এএসআই আমীর হামজা বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। তারপরও আমরা পেশাদার। অভিযোগ পেলে হারানো বা খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করি। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অনেক মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিয়েছি।

এছাড়াও হারিয়ে যাওয়া প্রকৃত মোবাইল মালিকরা হলেন ফারুক, ছোয়া মণি (ছাত্রী), বিল্লাল মাকসুদুর, নাঈমুর, হাসান মিয়া (রাজমিস্ত্রী) কুদ্দুস, আরিফ (অটোচালক), আনোয়ারুল ইসলাম, হাসান মিয়া, সম্পা সরকার, নারী উদ্যোক্তা, ইসতিয়াক, মিজান, সেলিম, বদরুল আমিন, (সাংবাদিক) হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফেরত পেয়ে তাদের সকলের চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক। পরিশেষে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন খোয়া যাওয়া ১৫টি মোবাইল ফোনের প্রকৃত মালিকগণ।