Hi

ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে বাবা-মাকে লাঞ্ছিত করায় পুলিশ কনস্টেবল হত্যা ; গ্রেফতার -০২

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:২৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৯৬ Time View

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহে পুলিশ কনস্টেবল হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সহোদর ভাইসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো হাবিবুল করিম তপু ও আনোয়ারুল ইসলাম।

আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) তারিখ দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। কোতোয়ালি মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুল ইসলাম ফকির বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে খবর পেয়ে বাদে কল্পা গ্রামের মেহগুনি বাগান থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহহের নাম সাদ্দাম হোসেন। সে পুলিশ কনস্টেবল সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত ছিল। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে সে কর্মস্থলে গড় হাজির ছিল। তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যাকরা হয়েছে। এ ঘটনায় স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ জানতে পায়, সাদ্দাম হোসেন প্রায় সময়ই তার চাকরির কর্মস্থলে গড় হাজির হয়ে বাড়িতে অবস্থান করত। ছুটিতে অতিবাস/গড় হাজির থাকার কারনে ইতিপূর্বে তার কর্মক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি লঘু এবং গুরুদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে সে মাদকসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পরে। টাকার জন্য সাদ্দাম বিভিন্ন সময় তার পিতামাতা সহ ভাইকে বিরক্তসহ নিজের তার মোবাইল ও মোটরসাইকেল পর্যন্ত বন্ধক দেয়।

ঘটনার দিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টাকার জন্য সাদ্দাম তার পিতামাতাকে লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে তার সহোদর বড় ভাই হাবিবুল করিম তপু ঢাকা থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে আসে এবং তার বন্ধু আনোয়ারকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে। একই তারিখ রাত ১১টারদিকে পার্শ্ববর্তী মেহগনি বাগানে হাবিবুল করিম তপু এবং আনোয়ার সহ ৩জন অবস্থান করে ভিকটিম সাদ্দামকে ফোন করে ডেকে নেয়।

সাদ্দাম কেন তাহার পিতামাতাকে লাঞ্চিত করে এবং চাকরি স্থলে কেন যায় না এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাদ্দামের গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে গাছের সাথে আটকিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামালের পরিকল্পনায় ঘাতকচক্রকে গ্রেফতারে টানা অভিযান পরিচালনা করে। সোমবার রাতে রাজাধানীর তেজগাও থেকে হত্যাকান্ডের মুলহোতা নিহতের বড় ভাই হাবিবুল করিম তপুকে এবং আনোয়ারুল ইসলামকে মুক্তাগাছা থেকে গ্রেফতার করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নিরুপম নাগের নেতৃত্বে এসআই আনোয়ার হোসেন, এএসআই সুজন চন্দ্র সাহা, কনস্টেবল মিজানুর রহমান, কনস্টেবল জোবায়েদ এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসআই নিরুপম নাগ বলেন, গ্রেফতারকৃতদেরকে সোমবার আদালতে পাঠানো হলে তারা উভয়েই আদালতে স্বিকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে যাত্রিদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন -আব্দুল কুদ্দুস

ময়মনসিংহে বাবা-মাকে লাঞ্ছিত করায় পুলিশ কনস্টেবল হত্যা ; গ্রেফতার -০২

Update Time : ০২:২৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহে পুলিশ কনস্টেবল হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সহোদর ভাইসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো হাবিবুল করিম তপু ও আনোয়ারুল ইসলাম।

আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) তারিখ দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। কোতোয়ালি মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুল ইসলাম ফকির বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে খবর পেয়ে বাদে কল্পা গ্রামের মেহগুনি বাগান থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহহের নাম সাদ্দাম হোসেন। সে পুলিশ কনস্টেবল সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত ছিল। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে সে কর্মস্থলে গড় হাজির ছিল। তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যাকরা হয়েছে। এ ঘটনায় স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ জানতে পায়, সাদ্দাম হোসেন প্রায় সময়ই তার চাকরির কর্মস্থলে গড় হাজির হয়ে বাড়িতে অবস্থান করত। ছুটিতে অতিবাস/গড় হাজির থাকার কারনে ইতিপূর্বে তার কর্মক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি লঘু এবং গুরুদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে সে মাদকসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পরে। টাকার জন্য সাদ্দাম বিভিন্ন সময় তার পিতামাতা সহ ভাইকে বিরক্তসহ নিজের তার মোবাইল ও মোটরসাইকেল পর্যন্ত বন্ধক দেয়।

ঘটনার দিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টাকার জন্য সাদ্দাম তার পিতামাতাকে লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে তার সহোদর বড় ভাই হাবিবুল করিম তপু ঢাকা থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে আসে এবং তার বন্ধু আনোয়ারকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে। একই তারিখ রাত ১১টারদিকে পার্শ্ববর্তী মেহগনি বাগানে হাবিবুল করিম তপু এবং আনোয়ার সহ ৩জন অবস্থান করে ভিকটিম সাদ্দামকে ফোন করে ডেকে নেয়।

সাদ্দাম কেন তাহার পিতামাতাকে লাঞ্চিত করে এবং চাকরি স্থলে কেন যায় না এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাদ্দামের গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে গাছের সাথে আটকিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামালের পরিকল্পনায় ঘাতকচক্রকে গ্রেফতারে টানা অভিযান পরিচালনা করে। সোমবার রাতে রাজাধানীর তেজগাও থেকে হত্যাকান্ডের মুলহোতা নিহতের বড় ভাই হাবিবুল করিম তপুকে এবং আনোয়ারুল ইসলামকে মুক্তাগাছা থেকে গ্রেফতার করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নিরুপম নাগের নেতৃত্বে এসআই আনোয়ার হোসেন, এএসআই সুজন চন্দ্র সাহা, কনস্টেবল মিজানুর রহমান, কনস্টেবল জোবায়েদ এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসআই নিরুপম নাগ বলেন, গ্রেফতারকৃতদেরকে সোমবার আদালতে পাঠানো হলে তারা উভয়েই আদালতে স্বিকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে।