Hi

ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে পুলিশ কনষ্টেবল হত্যা মামলায় জড়িত আসামী ফরিদ গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
  • ১২৯ Time View

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বাদে কল্পা গ্রামের আবুল হোসেনের মেহগুনি বাগান হতে গত (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) শনিবার দুপুর ০৩.০০ ঘটিকায় পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম এর মৃতদেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

জানা গেছে, নিহত কনস্টেবল সাদ্দাম সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত ছিল। সাদ্দাম বিভিন্ন সময় মাদকের টাকার জন্য পিতা-মাতা সহ তাহার ভাই’কে বিরক্ত করতো। ঘটনার দিন (২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) তারিখ সকালে টাকার জন্য সাদ্দাম তার পিতা-মাতাকে লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে তাহার বড় ভাই মোঃ হাবিবুল করিম তপু ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে এবং তার বন্ধু আনোয়ারকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে।

গত (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) তারিখ রাত ১১:০০ টায় তারা ঘটনাস্থল আবুল হোসেনের মেহগনি বাগানে পূর্বে ধৃত আসামি হাবিবুল করিম তপু এবং আনোয়ার সহ গ্রেফতারকৃত আসামী ফরিদ অবস্থান নিয়ে ভিকটিম সাদ্দাম’কে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। সাদ্দাম কেন তাহার পিতা-মাতা’কে লাঞ্চিত করে এবং চাকরি স্থলে কেন যায় না এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাদ্দাম এর গলায় আসামীরা রশি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে গাছের সাথে আটকিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।

মামলাটি তদন্তকালে জানা যায় নিহত কনস্টেবল সাদ্দাম গত (২৪ জানুয়ারী ২০২৩) তারিখ হতে কর্মস্থল হতে গড় হাজির ছিল। প্রাথমিকভাবে মৃতের গলায় কালচে দাগ দেখে ধারণা করা হয়েছিল তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।

উক্ত ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, এ ঘটনায় নিহত কনস্টেবল সাদ্দাম স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (২২), বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার রুজু করা হয়। মামলাটি তদন্ত কালে জানা যায় যে, সাদ্দাম হোসেন প্রায় সময় চাকরির কর্মস্থল হতে গড় হাজির হয়ে বাড়িতে অবস্থান করত। ছুটিতে অতিবাস/গড় হাজির থাকার কারনে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি লঘু এবং গুরুদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ এর নেতৃত্বে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই (নিঃ) নিরুপম নাগ অভিযান পরিচালনা করিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামী কোতোয়ালীথানাধীন হাসিবাসি এলাকার মোঃ আলাল উদ্দিন এর পুত্র মোঃ ফরিদ (২২), আজ বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ ২০২৩) তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী থানাধীন বাঘের কান্দা সাকিনস্থ এলাকা হইতে গ্রেফতার করে।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, আজ বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ ২০২৩) তারিখ কনস্টেবল সাদ্দাম এর হত্যাকারী গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ফরিদ (২২),কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করিলে দূষ স্বীকার করে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

আখতারুল আলম ফারুক দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোনীত হওয়ায় ও ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-শাহীনুর মল্লিক জীবন

ময়মনসিংহে পুলিশ কনষ্টেবল হত্যা মামলায় জড়িত আসামী ফরিদ গ্রেফতার

Update Time : ০৫:০৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বাদে কল্পা গ্রামের আবুল হোসেনের মেহগুনি বাগান হতে গত (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) শনিবার দুপুর ০৩.০০ ঘটিকায় পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম এর মৃতদেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

জানা গেছে, নিহত কনস্টেবল সাদ্দাম সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত ছিল। সাদ্দাম বিভিন্ন সময় মাদকের টাকার জন্য পিতা-মাতা সহ তাহার ভাই’কে বিরক্ত করতো। ঘটনার দিন (২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) তারিখ সকালে টাকার জন্য সাদ্দাম তার পিতা-মাতাকে লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে তাহার বড় ভাই মোঃ হাবিবুল করিম তপু ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে এবং তার বন্ধু আনোয়ারকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে।

গত (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) তারিখ রাত ১১:০০ টায় তারা ঘটনাস্থল আবুল হোসেনের মেহগনি বাগানে পূর্বে ধৃত আসামি হাবিবুল করিম তপু এবং আনোয়ার সহ গ্রেফতারকৃত আসামী ফরিদ অবস্থান নিয়ে ভিকটিম সাদ্দাম’কে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। সাদ্দাম কেন তাহার পিতা-মাতা’কে লাঞ্চিত করে এবং চাকরি স্থলে কেন যায় না এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাদ্দাম এর গলায় আসামীরা রশি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে গাছের সাথে আটকিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।

মামলাটি তদন্তকালে জানা যায় নিহত কনস্টেবল সাদ্দাম গত (২৪ জানুয়ারী ২০২৩) তারিখ হতে কর্মস্থল হতে গড় হাজির ছিল। প্রাথমিকভাবে মৃতের গলায় কালচে দাগ দেখে ধারণা করা হয়েছিল তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।

উক্ত ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, এ ঘটনায় নিহত কনস্টেবল সাদ্দাম স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (২২), বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার রুজু করা হয়। মামলাটি তদন্ত কালে জানা যায় যে, সাদ্দাম হোসেন প্রায় সময় চাকরির কর্মস্থল হতে গড় হাজির হয়ে বাড়িতে অবস্থান করত। ছুটিতে অতিবাস/গড় হাজির থাকার কারনে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি লঘু এবং গুরুদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ এর নেতৃত্বে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই (নিঃ) নিরুপম নাগ অভিযান পরিচালনা করিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামী কোতোয়ালীথানাধীন হাসিবাসি এলাকার মোঃ আলাল উদ্দিন এর পুত্র মোঃ ফরিদ (২২), আজ বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ ২০২৩) তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী থানাধীন বাঘের কান্দা সাকিনস্থ এলাকা হইতে গ্রেফতার করে।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, আজ বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ ২০২৩) তারিখ কনস্টেবল সাদ্দাম এর হত্যাকারী গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ফরিদ (২২),কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করিলে দূষ স্বীকার করে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে।