Hi

ঢাকা ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুলপুর-হালুয়াঘাটের মধ্যবর্তী কংশ নদী পারাপারে কাঠের সাঁকো ভোগান্তির শিকার ২০ গ্রামের মানুষ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:২৩:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
  • ১২৯ Time View

মোঃ কামরুল ইসলাম খান , ফুলপুর (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সেনেরচর ও হালুয়াঘাট উপজেলার বাদে বাহিরশিমুল
গ্রামের মধ্যবর্তী কংশ নদীর উপর নড়বড়ে কাঠের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে
পারাপার করছে দুই উপজেলার ২০ গ্রামের মানুষ। দুই উপজেলার মধ্যবর্তী হওয়ায়
কোনো উপজেলার প থেকেই এখানে সেতু নির্মাণের পদপে নেই।
এলাকায় গিয়ে জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকে জায়গাটি মেনুর গোদারাঘাট নামে
পরিচিত। এই ঘাট দিয়ে খেয়া পারাপারের মাধ্যমে দুই উপজেলার মানুষ যাতায়াত
করতো। ৫ বছর আগে হালুয়াঘাটের বাদে বাহিরশিমুল ও ফুলপুরের সেনেরচর গ্রামের
লোকজনের উদ্যোগে এখানে ১৬০ ফুট লম্বা একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়।
তখন থেকে কাঠের এই নড়বড়ে সাঁকোই ২০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা। এই
কাঠের সাঁকো দিয়ে হালুয়াঘাটের বাহিরশিমুল, আমতৈল, বড়বিলা, চকেরকান্দা,
দলারচর, বিষমপুর, বাদে বাহিরশিমুল ও ফুলপুরের সেনেরচর, নিশুনিয়াকান্দা,
বড়পুটিয়া, মারুয়াকান্দি, পুটিয়া, মাইজপাড়া, পূর্ব দনারভিটা, সিংহেশ্বর,
পলাশকান্দা, পুঁটিয়াকান্দি, চাতুলিয়াকান্দা, কোটরাকান্দা ও ডোবারপার
গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে সাইকেল, ভ্যানগাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা,
ব্যাটারিচালিত অটোগাড়িসহ পারাপার করতে হয়। এছাড়া দুই উপজেলার বেশ কয়েকটি
শিা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিার্থীর নদী পারাপারের একমাত্র অবলম্বন এই
কাঠের সাঁকো। ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে ছোট ছোট যান চলাচল করলেও
তুলনামূলক ভারী যানবাহনগুলো পারাপার করা সম্ভব হয় না। ফলে কৃষকদের
উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুণতে হয়।
সেনেরচর গ্রামের মো. কছিম উদ্দিন বলেন, ব্রিজ না থাকায় এলাকার লোকজন
ফুলপুর উপজেলা ও হালুয়াঘাট সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে না। একই
গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি রমজান আলী জানান, শুকনো মওসুমে নদীতে পানি কম
থাকায় ছেলেমেয়েরা ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে গেলেও বর্ষায়
ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। আমরা ছোটবেলা দেখে এসেছি এই মেনুর গুদারাঘাট দিয়ে
খেয়া পারাপারে মাধ্যমে দুই পাড়ের মানুষ চলাচল করতো। কখনো নৌকার অভাবে
কলাগাছের ভেলাই ছিল ভরসা। এমনকি সাঁতরিয়েও নদী পার হত অনেকেই।
আমতৈল ইউনিয়নের বাদে বাইশিমুল গ্রামের আব্দুল আওয়াল মিয়া বলেন, কাঠের
সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে খুব ভয় লাগে। কখন যে সাঁকো ভেঙে নদীতে পড়ে যাই।
আমাদের জন্য এখানে একটি ব্রিজ হওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে হালুয়াঘাট উপজেলা প্রকোশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ ওয়াহেদুল হকের
সাথে কথা বললে তিনি জানান, এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে
প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে যাত্রিদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন -আব্দুল কুদ্দুস

ফুলপুর-হালুয়াঘাটের মধ্যবর্তী কংশ নদী পারাপারে কাঠের সাঁকো ভোগান্তির শিকার ২০ গ্রামের মানুষ

Update Time : ০১:২৩:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

মোঃ কামরুল ইসলাম খান , ফুলপুর (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সেনেরচর ও হালুয়াঘাট উপজেলার বাদে বাহিরশিমুল
গ্রামের মধ্যবর্তী কংশ নদীর উপর নড়বড়ে কাঠের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে
পারাপার করছে দুই উপজেলার ২০ গ্রামের মানুষ। দুই উপজেলার মধ্যবর্তী হওয়ায়
কোনো উপজেলার প থেকেই এখানে সেতু নির্মাণের পদপে নেই।
এলাকায় গিয়ে জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকে জায়গাটি মেনুর গোদারাঘাট নামে
পরিচিত। এই ঘাট দিয়ে খেয়া পারাপারের মাধ্যমে দুই উপজেলার মানুষ যাতায়াত
করতো। ৫ বছর আগে হালুয়াঘাটের বাদে বাহিরশিমুল ও ফুলপুরের সেনেরচর গ্রামের
লোকজনের উদ্যোগে এখানে ১৬০ ফুট লম্বা একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়।
তখন থেকে কাঠের এই নড়বড়ে সাঁকোই ২০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা। এই
কাঠের সাঁকো দিয়ে হালুয়াঘাটের বাহিরশিমুল, আমতৈল, বড়বিলা, চকেরকান্দা,
দলারচর, বিষমপুর, বাদে বাহিরশিমুল ও ফুলপুরের সেনেরচর, নিশুনিয়াকান্দা,
বড়পুটিয়া, মারুয়াকান্দি, পুটিয়া, মাইজপাড়া, পূর্ব দনারভিটা, সিংহেশ্বর,
পলাশকান্দা, পুঁটিয়াকান্দি, চাতুলিয়াকান্দা, কোটরাকান্দা ও ডোবারপার
গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে সাইকেল, ভ্যানগাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা,
ব্যাটারিচালিত অটোগাড়িসহ পারাপার করতে হয়। এছাড়া দুই উপজেলার বেশ কয়েকটি
শিা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিার্থীর নদী পারাপারের একমাত্র অবলম্বন এই
কাঠের সাঁকো। ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে ছোট ছোট যান চলাচল করলেও
তুলনামূলক ভারী যানবাহনগুলো পারাপার করা সম্ভব হয় না। ফলে কৃষকদের
উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুণতে হয়।
সেনেরচর গ্রামের মো. কছিম উদ্দিন বলেন, ব্রিজ না থাকায় এলাকার লোকজন
ফুলপুর উপজেলা ও হালুয়াঘাট সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে না। একই
গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি রমজান আলী জানান, শুকনো মওসুমে নদীতে পানি কম
থাকায় ছেলেমেয়েরা ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে গেলেও বর্ষায়
ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। আমরা ছোটবেলা দেখে এসেছি এই মেনুর গুদারাঘাট দিয়ে
খেয়া পারাপারে মাধ্যমে দুই পাড়ের মানুষ চলাচল করতো। কখনো নৌকার অভাবে
কলাগাছের ভেলাই ছিল ভরসা। এমনকি সাঁতরিয়েও নদী পার হত অনেকেই।
আমতৈল ইউনিয়নের বাদে বাইশিমুল গ্রামের আব্দুল আওয়াল মিয়া বলেন, কাঠের
সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে খুব ভয় লাগে। কখন যে সাঁকো ভেঙে নদীতে পড়ে যাই।
আমাদের জন্য এখানে একটি ব্রিজ হওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে হালুয়াঘাট উপজেলা প্রকোশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ ওয়াহেদুল হকের
সাথে কথা বললে তিনি জানান, এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে
প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।