Hi

ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৭৩ Time View

মোঃ কামরুল ইসলাম খান , ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চারটিই ভবন সঙ্কটে আক্রান্ত। ভবন সঙ্কটের কারণে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেবা পেতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন জনসাধারণ।উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪নং সিংহেশ্বর ইউনিয়ন, ৯নং বালিয়া ইউনিয়ন,
১০নং বওলা ইউনিয়ন, ফুলপুর সদর ইউনিয়ন, ৬নং পয়ারী ইউনিয়ন, ৭নং রহিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভবন থাকলেও বাকি ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলছে পুরাতন জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে।সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ১নং ছনধরা ইউনিয়ন, ২নং রামভদ্রপুর ইউনিয়ন, ৮নং রূপসী ইউনিয়ন ও ৩নং ভাইটকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন নেই।দীর্ঘদিন ধরে কোনরূপ সংস্কার বা মেরামত না হওয়া আধাপাকা ঘরগুলোর বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টিতেই ভেতরে পানি পড়ায় নষ্ট হয়ে গেছে ঘরের দরজা-জানালা,আসবাবপত্র ও কাগজপত্র। জানালার গ্রিলগুলোও মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নের েেত্র ইউনিয়ন পরিষদগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে জনসাধারণকে ননস্টপ সার্ভিস প্রদানের ল। লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক সারাদেশে পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নসমূহে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণকাজ চলমান থাকলেও ফুলপুর উপজেলার এই সকল ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কোনা উদ্যোগ নেই। তাই ইউপি চেয়ারম্যানরা পুরনো টিনশেড ঘরে দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করছেন। ভাইটকান্দি ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের
বাসিন্দা লাল মিয়া বলেন, প্রায় ৪০ বছর যাবত তাদের ইউনিয়নে মানসম্মত পরিষদ ভবন নেই। এতে নথিপত্রের যথাযথ নিরাপত্তা না থাকায় পরিচয়পত্র, ভিজিডির চাল, ভিজিএফের চাল, কৃষিবিষয়ক পরামর্শ ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি
ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দাবি তাদের। ৩নং ভাইটকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সুদেব কুমার রায় বলেন, ২০০৮ সালে ভাইটকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম বাবুলের
আমলে একটি নতুন ভবন নির্মাণের বরাদ্দ এসেছিল। জমি সংকটের কারণে ভবনটি আর নির্মিত হয়নি। ছনধরা ইউনিযন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। রূপসী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যন মজিবুর রহমান বলেন, পরিষদের বর্তমান পুরাতন ভবনটি জেলা প্রশাসকের জায়গায় অবস্থিত। এই পরিষদের নিজস্ব কোন জায়গা নাই। জায়গা ও ভবন সঙ্কটের কারণে পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভবনের জন্য ইতোমধ্যে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে। রামভদ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান জানান, কাগজপত্রসহ ভবন নির্মাণের উপযোগী সবকিছুই ঠিক থাকলেও কোন টেন্ডার নোটিশ জারি করা হচ্ছে না।ভাইট কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমদ বলেন,ভবনের জন্য ইতোমধ্যে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে।ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার জানান,সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ভবন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে যাত্রিদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন -আব্দুল কুদ্দুস

Update Time : ১১:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

মোঃ কামরুল ইসলাম খান , ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চারটিই ভবন সঙ্কটে আক্রান্ত। ভবন সঙ্কটের কারণে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেবা পেতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন জনসাধারণ।উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪নং সিংহেশ্বর ইউনিয়ন, ৯নং বালিয়া ইউনিয়ন,
১০নং বওলা ইউনিয়ন, ফুলপুর সদর ইউনিয়ন, ৬নং পয়ারী ইউনিয়ন, ৭নং রহিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভবন থাকলেও বাকি ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলছে পুরাতন জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে।সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ১নং ছনধরা ইউনিয়ন, ২নং রামভদ্রপুর ইউনিয়ন, ৮নং রূপসী ইউনিয়ন ও ৩নং ভাইটকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন নেই।দীর্ঘদিন ধরে কোনরূপ সংস্কার বা মেরামত না হওয়া আধাপাকা ঘরগুলোর বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টিতেই ভেতরে পানি পড়ায় নষ্ট হয়ে গেছে ঘরের দরজা-জানালা,আসবাবপত্র ও কাগজপত্র। জানালার গ্রিলগুলোও মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নের েেত্র ইউনিয়ন পরিষদগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে জনসাধারণকে ননস্টপ সার্ভিস প্রদানের ল। লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক সারাদেশে পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নসমূহে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণকাজ চলমান থাকলেও ফুলপুর উপজেলার এই সকল ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কোনা উদ্যোগ নেই। তাই ইউপি চেয়ারম্যানরা পুরনো টিনশেড ঘরে দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করছেন। ভাইটকান্দি ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের
বাসিন্দা লাল মিয়া বলেন, প্রায় ৪০ বছর যাবত তাদের ইউনিয়নে মানসম্মত পরিষদ ভবন নেই। এতে নথিপত্রের যথাযথ নিরাপত্তা না থাকায় পরিচয়পত্র, ভিজিডির চাল, ভিজিএফের চাল, কৃষিবিষয়ক পরামর্শ ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি
ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দাবি তাদের। ৩নং ভাইটকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সুদেব কুমার রায় বলেন, ২০০৮ সালে ভাইটকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম বাবুলের
আমলে একটি নতুন ভবন নির্মাণের বরাদ্দ এসেছিল। জমি সংকটের কারণে ভবনটি আর নির্মিত হয়নি। ছনধরা ইউনিযন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। রূপসী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যন মজিবুর রহমান বলেন, পরিষদের বর্তমান পুরাতন ভবনটি জেলা প্রশাসকের জায়গায় অবস্থিত। এই পরিষদের নিজস্ব কোন জায়গা নাই। জায়গা ও ভবন সঙ্কটের কারণে পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভবনের জন্য ইতোমধ্যে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে। রামভদ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান জানান, কাগজপত্রসহ ভবন নির্মাণের উপযোগী সবকিছুই ঠিক থাকলেও কোন টেন্ডার নোটিশ জারি করা হচ্ছে না।ভাইট কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমদ বলেন,ভবনের জন্য ইতোমধ্যে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে।ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার জানান,সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ভবন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।