Hi

ঢাকা ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ্যে ঘুষ নেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৭ Time View

গোলাম কিবরিয়া পলাশ স্টাফ রিপোর্টারঃ
অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছিলেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম। সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে, তাঁর এ সময় ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম হয় সাংবাদিকরা।

ভিডিওতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বালিখাঁ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম তাঁর অফিসে নামজারি করতে আসা সাংবাদিক রিয়াদ এর সঙ্গে টাকার বিনিময়ে কাজ করে দেওয়ার জন্য দর-কষাকষি করছেন। একপর্যায়ে দুই হাতে টাকা গুনতে গুনতে পাঞ্জাবির পকেটে ঢুকান ঘুষের টাকা।

এ সময় তিনি ‘ন্যায্য ও নির্ধারিত টাকায়, নিয়ম মেনে’ অফিসে কাজ করতে গেলে যে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়, তা বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন। ঘুষ প্রতিরোধে বাণিজ্য একই সময় সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজনকে যথেষ্ট গোপনীয়তা বজায় রাখতে দেখা যায়। ওই কর্মকর্তার কানে কানে কথা বলতেও দেখা যায় অনেককে।

কথোপকথনের একপর্যায়ে ভূমি কর্মকর্তা বলেন, ‘এইটা তো আমার অফিসের কাজ। উল্লেখ্য, এই ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এর আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জন পোস্ট ও মন্তব্য করেছেন। এ কর্মকর্তা বালিখাঁ ইউনিয়ন ছাড়াও আরো একটি ইউনিয়নে একসাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

তিনি বলেন সাংবাদিক হোন, আর যায় হোন টাকা ছাড়া কাজ হবে না আমার অফিসে। তখন সাংবাদিক রিয়াদ বলেন, আমাকে শুধু প্রস্তাব করে দেন, ভূমি কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বলেন, ৩ হাজার টাকা দেন, পরে রিয়াদ বললেন, খারিজ টা আপনিই করেদেন, তখন ভূমি কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম ৮,৫০০ টাকা চান, তখনই সাংবাদিক রিয়াদ পকেট থেকে টাকা বের করে, ঐ ভূমি কর্মকর্তা নূরুল ইসলামের হাতে টাকা দেন, পরে তিনি নিজেই তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে, ঘুষ নেওয়ার ১২ সেকেন্ড এর একটি ভিডিও দারুণ করতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের হট লাইনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক রিয়াদ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সাংবাদিক এর ফেসবুক আইডিতে এ নিউজ পাবলিশ হয়েছে। ঘটনাটি সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে জোড় দাবী জানান ভুক্তভোগীসহ স্থানীয় লোকজন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভালুকায় বসত বাড়ীতে হামলা ভাংচুর লুটপাট আহত ৩

প্রকাশ্যে ঘুষ নেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম

Update Time : ০২:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

গোলাম কিবরিয়া পলাশ স্টাফ রিপোর্টারঃ
অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছিলেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম। সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে, তাঁর এ সময় ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম হয় সাংবাদিকরা।

ভিডিওতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বালিখাঁ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম তাঁর অফিসে নামজারি করতে আসা সাংবাদিক রিয়াদ এর সঙ্গে টাকার বিনিময়ে কাজ করে দেওয়ার জন্য দর-কষাকষি করছেন। একপর্যায়ে দুই হাতে টাকা গুনতে গুনতে পাঞ্জাবির পকেটে ঢুকান ঘুষের টাকা।

এ সময় তিনি ‘ন্যায্য ও নির্ধারিত টাকায়, নিয়ম মেনে’ অফিসে কাজ করতে গেলে যে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়, তা বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন। ঘুষ প্রতিরোধে বাণিজ্য একই সময় সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজনকে যথেষ্ট গোপনীয়তা বজায় রাখতে দেখা যায়। ওই কর্মকর্তার কানে কানে কথা বলতেও দেখা যায় অনেককে।

কথোপকথনের একপর্যায়ে ভূমি কর্মকর্তা বলেন, ‘এইটা তো আমার অফিসের কাজ। উল্লেখ্য, এই ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এর আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জন পোস্ট ও মন্তব্য করেছেন। এ কর্মকর্তা বালিখাঁ ইউনিয়ন ছাড়াও আরো একটি ইউনিয়নে একসাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

তিনি বলেন সাংবাদিক হোন, আর যায় হোন টাকা ছাড়া কাজ হবে না আমার অফিসে। তখন সাংবাদিক রিয়াদ বলেন, আমাকে শুধু প্রস্তাব করে দেন, ভূমি কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বলেন, ৩ হাজার টাকা দেন, পরে রিয়াদ বললেন, খারিজ টা আপনিই করেদেন, তখন ভূমি কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম ৮,৫০০ টাকা চান, তখনই সাংবাদিক রিয়াদ পকেট থেকে টাকা বের করে, ঐ ভূমি কর্মকর্তা নূরুল ইসলামের হাতে টাকা দেন, পরে তিনি নিজেই তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে, ঘুষ নেওয়ার ১২ সেকেন্ড এর একটি ভিডিও দারুণ করতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের হট লাইনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক রিয়াদ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সাংবাদিক এর ফেসবুক আইডিতে এ নিউজ পাবলিশ হয়েছে। ঘটনাটি সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে জোড় দাবী জানান ভুক্তভোগীসহ স্থানীয় লোকজন।