Hi

ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীপুরে চেতনানাশক প্রয়োগে লুটের ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার বিষয়ে পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০১:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • ৯ Time View

মোঃ সাকিব খান মাগুরা জেলা প্রতিনিধি  মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হরিন্দি গ্রামে এক হিন্দু পরিবারের সকল সদস্যকে চেতনানাশক প্রয়োগ করে সর্বস্ব চুরির ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইদ্রিস আলী থানার গোলঘরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন।  এসময় উপস্থিত ছিলেন ওসি (তদন্ত) আবু বকর, শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ড. মুসাফির নজরুল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সরকার, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাসসহ শ্রীপুর প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।  প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ জানান, শ্রীপুর থানাধীন হরিন্দী গ্রামের রায় কিশোর কুমার (মধু ঠাকুরের) ও রায় হিমাংশু শেখরের বসত বাড়িতে গত ২৭ মে মঙ্গলবার রাত ১০ ঘটিকা হতে ২৮ মে বুধবার সকাল ৯ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা কে বা কারা চেতনাশক ঔষধ প্রয়োগ করে রায় কিশোর কুমার মধু, তার স্ত্রী রায় নিপু চন্দনাসহ তার বসত ঘরের ভিতরে খাওয়া-দাওয়া শেষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর তারা জ্ঞান হারিয়েই স্ত্রী রায় নিপু চন্দনা খাটের উপর এবং কিশোর কুমার রায় মধু ঠাকুর মেঝেতে পড়ে যায়। ২৮ মে বুধবার সকাল অনুমান ৯ ঘটিকার সময় মাঝিপাড়া হতে জনৈক সুজিতের মা পূজার জন্য কিশোর কুমার রায় মধু ঠাকুরবাড়িতে ডাকতে আসে। ডাকাডাকির একপর্যায়ে তাহাদের বাড়ির কোন লোকজনের সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের বিষয়টি জানালে উক্ত এলাকার স্থানীয় লোকজন উক্ত বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ৩ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাদের মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৮ মে বুধবার বিকাল অনুমান ৩ ঘটিকার সময় হাসপাতালে তাহাদের সকলের জ্ঞান ফিরলে মধু ঠাকুরের স্ত্রী তার ব্যবহৃত কানে থাকা স্বর্ণের দুল ও হাতের দুটি বালা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান। উক্ত ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় যে, উক্ত বাড়ির প্রধান ফটকে তালা লাগানো। উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্তকালে জানা যায় যে, রায় হিমাংশু শিখর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক রনজিত ডাক্তার উক্ত বাড়িতে ২৭ মে মঙ্গলবার রাত অনুমান সাড়ে ৮ টার সময় উপস্থিত হয়ে তার পেশার মেপে ১৮০/১৫০ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে যায়। উক্ত ঘটনায় কোন ধর্ষণ বা ডাকাতি সংগঠনের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে তাদের পরিবারের অপর সদস্য সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর রায়ও অপপ্রচার থেকে  বিরত থাকতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্যও দিয়েছেন। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি  এটিকে ভিন্নখাতে নেওয়ায় জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তদন্তপূর্বক সকল বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে যাত্রিদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন -আব্দুল কুদ্দুস

শ্রীপুরে চেতনানাশক প্রয়োগে লুটের ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার বিষয়ে পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

Update Time : ১১:০১:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

মোঃ সাকিব খান মাগুরা জেলা প্রতিনিধি  মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হরিন্দি গ্রামে এক হিন্দু পরিবারের সকল সদস্যকে চেতনানাশক প্রয়োগ করে সর্বস্ব চুরির ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইদ্রিস আলী থানার গোলঘরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন।  এসময় উপস্থিত ছিলেন ওসি (তদন্ত) আবু বকর, শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ড. মুসাফির নজরুল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সরকার, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাসসহ শ্রীপুর প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।  প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ জানান, শ্রীপুর থানাধীন হরিন্দী গ্রামের রায় কিশোর কুমার (মধু ঠাকুরের) ও রায় হিমাংশু শেখরের বসত বাড়িতে গত ২৭ মে মঙ্গলবার রাত ১০ ঘটিকা হতে ২৮ মে বুধবার সকাল ৯ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা কে বা কারা চেতনাশক ঔষধ প্রয়োগ করে রায় কিশোর কুমার মধু, তার স্ত্রী রায় নিপু চন্দনাসহ তার বসত ঘরের ভিতরে খাওয়া-দাওয়া শেষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর তারা জ্ঞান হারিয়েই স্ত্রী রায় নিপু চন্দনা খাটের উপর এবং কিশোর কুমার রায় মধু ঠাকুর মেঝেতে পড়ে যায়। ২৮ মে বুধবার সকাল অনুমান ৯ ঘটিকার সময় মাঝিপাড়া হতে জনৈক সুজিতের মা পূজার জন্য কিশোর কুমার রায় মধু ঠাকুরবাড়িতে ডাকতে আসে। ডাকাডাকির একপর্যায়ে তাহাদের বাড়ির কোন লোকজনের সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের বিষয়টি জানালে উক্ত এলাকার স্থানীয় লোকজন উক্ত বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ৩ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাদের মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৮ মে বুধবার বিকাল অনুমান ৩ ঘটিকার সময় হাসপাতালে তাহাদের সকলের জ্ঞান ফিরলে মধু ঠাকুরের স্ত্রী তার ব্যবহৃত কানে থাকা স্বর্ণের দুল ও হাতের দুটি বালা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান। উক্ত ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় যে, উক্ত বাড়ির প্রধান ফটকে তালা লাগানো। উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্তকালে জানা যায় যে, রায় হিমাংশু শিখর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক রনজিত ডাক্তার উক্ত বাড়িতে ২৭ মে মঙ্গলবার রাত অনুমান সাড়ে ৮ টার সময় উপস্থিত হয়ে তার পেশার মেপে ১৮০/১৫০ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে যায়। উক্ত ঘটনায় কোন ধর্ষণ বা ডাকাতি সংগঠনের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে তাদের পরিবারের অপর সদস্য সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর রায়ও অপপ্রচার থেকে  বিরত থাকতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্যও দিয়েছেন। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি  এটিকে ভিন্নখাতে নেওয়ায় জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তদন্তপূর্বক সকল বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।