Hi

ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে কৃষির নবজাগরণ জৈব সারেই সাফল্যের সিঁড়ি ড. সালমা লাইজুর

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ১০ Time View

ময়মনসিংহ্ প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর ইউনিয়নের পরিশ্রমী কৃষক আবুল কালাম করলা চাষে সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ বছর তিনি ১৫০ শতক জমিতে করলা চাষ করে উল্লেখযোগ্য ফলন অর্জন করেছেন, যা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কৃষক আবুল কালাম জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী জমি প্রস্তুতের সময় ট্রাইকোডার্মা ও ডলোচুন ব্যবহার করে মাটির রোগজীবাণু দমন করেন। পাশাপাশি জমির উর্বরতা বজায় রাখতে জৈব সার ও জমির আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য মালচিং পেপার ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, “পোকামাকড় দমনে আমি তরল জৈব সার, সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, বিষটোপ ও আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করেছি। এতে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার অনেক কমে গেছে, গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়েছে, ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছি।” উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ মোস্তফা কামালের পরামর্শে চারারোপণের ২২ দিন পর আবুল কালাম করলা খেতে সরিষার খৈল দিয়ে তৈরি ‘হরলিক্স’ নামের এক ধরনের তরল জৈব সার ব্যবহার করেন। প্রথমে সন্দেহ থাকলেও কিছুদিন পর গাছের সবুজ বৃদ্ধি ও ফলন দেখে তিনি বিস্মিত হন। তিনি বলেন, “দ্বিতীয়বার ব্যবহার করার পর দেখি অন্যদের তুলনায় আমার খেতে ফুল ও ফল অনেক বেশি আসছে, আর ঝরছেও কম। এখন আমার খেত দেখে অনেক কৃষকই এই সার ব্যবহারে আগ্রহী হয়েছেন।” তিনি আরও জানান, এখন থেকে তিনি টমেটো, মিষ্টি লাউ, মরিচ ও লাউসহ অন্যান্য ফসলেও এই তরল হরলিক্স ব্যবহার করবেন। এতে তিনি আশা করছেন, অন্যদের তুলনায় অন্তত ২০-৩০% বেশি ফলন পাবেন। উপজেলা কৃষি অফিসার জুবায়রা বেগম সাথী বলেন, “আমরা সবসময় কৃষকদের নিরাপদ ও বিষমুক্ত ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু স্যারের বিশেষ উদ্যোগে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে তরল জৈব সার ও তরল হরলিক্স সার ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এতে কৃষকদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।” কৃষক আবুল কালাম বলেন, “কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি জৈব ও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করছি। প্রথমবার করলা উঠানোর পর বুঝতে পারলাম আমার ফলন অনেক ভালো হয়েছে এবং ভালো দামও পেয়েছি। ভবিষ্যতেও এই পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি অনুসরণ করব।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

ভালুকায় পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের জনগণের মাঝে বিএনপির উপহার সামগ্রী বিতরণ

ময়মনসিংহে কৃষির নবজাগরণ জৈব সারেই সাফল্যের সিঁড়ি ড. সালমা লাইজুর

Update Time : ০৫:২২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

ময়মনসিংহ্ প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর ইউনিয়নের পরিশ্রমী কৃষক আবুল কালাম করলা চাষে সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ বছর তিনি ১৫০ শতক জমিতে করলা চাষ করে উল্লেখযোগ্য ফলন অর্জন করেছেন, যা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কৃষক আবুল কালাম জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী জমি প্রস্তুতের সময় ট্রাইকোডার্মা ও ডলোচুন ব্যবহার করে মাটির রোগজীবাণু দমন করেন। পাশাপাশি জমির উর্বরতা বজায় রাখতে জৈব সার ও জমির আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য মালচিং পেপার ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, “পোকামাকড় দমনে আমি তরল জৈব সার, সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, বিষটোপ ও আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করেছি। এতে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার অনেক কমে গেছে, গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়েছে, ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছি।” উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ মোস্তফা কামালের পরামর্শে চারারোপণের ২২ দিন পর আবুল কালাম করলা খেতে সরিষার খৈল দিয়ে তৈরি ‘হরলিক্স’ নামের এক ধরনের তরল জৈব সার ব্যবহার করেন। প্রথমে সন্দেহ থাকলেও কিছুদিন পর গাছের সবুজ বৃদ্ধি ও ফলন দেখে তিনি বিস্মিত হন। তিনি বলেন, “দ্বিতীয়বার ব্যবহার করার পর দেখি অন্যদের তুলনায় আমার খেতে ফুল ও ফল অনেক বেশি আসছে, আর ঝরছেও কম। এখন আমার খেত দেখে অনেক কৃষকই এই সার ব্যবহারে আগ্রহী হয়েছেন।” তিনি আরও জানান, এখন থেকে তিনি টমেটো, মিষ্টি লাউ, মরিচ ও লাউসহ অন্যান্য ফসলেও এই তরল হরলিক্স ব্যবহার করবেন। এতে তিনি আশা করছেন, অন্যদের তুলনায় অন্তত ২০-৩০% বেশি ফলন পাবেন। উপজেলা কৃষি অফিসার জুবায়রা বেগম সাথী বলেন, “আমরা সবসময় কৃষকদের নিরাপদ ও বিষমুক্ত ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু স্যারের বিশেষ উদ্যোগে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে তরল জৈব সার ও তরল হরলিক্স সার ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এতে কৃষকদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।” কৃষক আবুল কালাম বলেন, “কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি জৈব ও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করছি। প্রথমবার করলা উঠানোর পর বুঝতে পারলাম আমার ফলন অনেক ভালো হয়েছে এবং ভালো দামও পেয়েছি। ভবিষ্যতেও এই পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি অনুসরণ করব।