Hi

ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুলপুরে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগের শিকার দিউবাসী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৮ Time View

 মো. কামরুল ইসলাম খান : একটুখানি বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার শিকার হন ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরবাসী। বিশেষ করে পৌরসভার দিউ এলাকার লোকজন এ ব্যাপারে চরমভাবে অবহেলিত। একটু বৃষ্টি হলেই মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা। ফুলপুর পৌরসভার ঘনবসতি এলাকায় ৮নং দিউ গ্রামে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিবন্দি হয়ে পড়েন শতশত মানুষ। এসময় স্কুল কলেজ বা মাদরাসায় যেতে পারেন না বিশেষ করে কচিকাঁচা শিশুরা। দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য কথা দিলেও পৌরকর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করছেন না। ফলে হাঁটু পানি দিয়ে চলাচল করতে হয় পৌরসভার দিউ গ্রামের আবাল বৃদ্ধ বণিতা এমনকি রোগীদেরও। অনেক বাড়ি ঘরে তখন পানি ওঠে পড়ে। তখন সবার জন্যই যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ প্রয়োজনে ড্রেন থেকে ভেসে উঠা টয়লেটের ময়লা আবর্জনা মিশ্রিত পানি মাড়িয়ে তখন বাহিরে বের হতে হয়। এ বিষয়ে অনেক লেখালেখি করার পরও কোন কাজ হয়নি। এ এলাকায় দুটি মাদরাসা ও মসজিদ রয়েছে। মসজিদে মুসল্লীরা নামাজে যাতায়াত করতে পারেন না। দূষিত পানি মাড়িয়ে পা-জুতা ভিঁজিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া একটি মহিলা মাদ্রাসা রয়েছে ওখানে। অনেক শিশু বাচ্চা আছে। ওই এলাকায় কিছুদিন আগেও একটি শিশু বাচ্চা পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে। এরপরও প্রশাসনের টনক নড়েনি। ফুলপুরকে ফুলের মত সাজাবে গুছাবে এরকম বুলি অনেকেই আওড়ালেও কাজের কাজ কাউকেই করতে দেখা যায় না। আশা করি, এ জনদুর্ভোগ থেকে পৌরসভার নাগরিকদের মুক্তি দিবেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা। সংবাদকর্মী হিসেবে এ চিত্রটি বারবার তুলে ধরেছি কিন্তু কোন সূরাহা হয়নি। অনেকবার এ বিষয়ে লেখালেখি করেছি। কিন্তু কে শুনে কার কথা? আমি আমার নিজের জন্য কি কিছু চেয়েছি? একজন সংবাদকর্মী হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণে যা করতে হয় তাই করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নজর দেওয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তবে যদিও বলা ঠিক নয় আবার না বলেও পারছি না; ফুলপুরে মুষ্টিমেয় কিছু সাংবাদিক রয়েছেন যারা তেল মারার উস্তাদ। তাদের মুখে এক রকম কথা আর অন্তরে আরেক রকম। বাহ্, কি চমৎকার! ফুলপুর পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ডে কিছুদিন পর পর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলে। কিছুদিন যাওয়ার পর আবার যেইসেই। তাহলে কি প্রশাসন ব্যর্থ? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। আবার বড় করে বিলবোর্ডটা নিয়ে লিখে রেখেছেন অনেক কথা আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ। তাহলে কি কর্তৃপক্ষও দুর্বল? এটাও সাধারণ মানুষের প্রশ্ন। কেন দুদিন পরপর গরিবের পেটে লাথি? কি দরকারে এ নাটক? যাই হোক, আরও অনেক কিছুই বলার ছিল, ছোট মুখে বড় কথা হয়ে যাবে তাই বললাম না। ফুলপুরে তো অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে; পৌরসভা থেকে উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যন্ত বহু কাজ হচ্ছে। তবে কেন দিউ এলাকার মানুষ অবহেলিত? ৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের এটা একটা প্রশ্ন। সৃষ্টিকর্তা সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমি সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সবাই ভালো থাকুন। প্রশাসনকে আবারও দিউ এলাকাসহ অবহেলিত এলাকাগুলোর প্রতি নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে আপাততঃ শেষ করছি। শেষমেশ তৈলবাজ সাংবাদিকদের বলবো, ভালো হয়ে যান। আপনাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

ভালুকায় পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের জনগণের মাঝে বিএনপির উপহার সামগ্রী বিতরণ

ফুলপুরে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগের শিকার দিউবাসী

Update Time : ০৮:১৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

 মো. কামরুল ইসলাম খান : একটুখানি বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার শিকার হন ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরবাসী। বিশেষ করে পৌরসভার দিউ এলাকার লোকজন এ ব্যাপারে চরমভাবে অবহেলিত। একটু বৃষ্টি হলেই মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা। ফুলপুর পৌরসভার ঘনবসতি এলাকায় ৮নং দিউ গ্রামে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিবন্দি হয়ে পড়েন শতশত মানুষ। এসময় স্কুল কলেজ বা মাদরাসায় যেতে পারেন না বিশেষ করে কচিকাঁচা শিশুরা। দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য কথা দিলেও পৌরকর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করছেন না। ফলে হাঁটু পানি দিয়ে চলাচল করতে হয় পৌরসভার দিউ গ্রামের আবাল বৃদ্ধ বণিতা এমনকি রোগীদেরও। অনেক বাড়ি ঘরে তখন পানি ওঠে পড়ে। তখন সবার জন্যই যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ প্রয়োজনে ড্রেন থেকে ভেসে উঠা টয়লেটের ময়লা আবর্জনা মিশ্রিত পানি মাড়িয়ে তখন বাহিরে বের হতে হয়। এ বিষয়ে অনেক লেখালেখি করার পরও কোন কাজ হয়নি। এ এলাকায় দুটি মাদরাসা ও মসজিদ রয়েছে। মসজিদে মুসল্লীরা নামাজে যাতায়াত করতে পারেন না। দূষিত পানি মাড়িয়ে পা-জুতা ভিঁজিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া একটি মহিলা মাদ্রাসা রয়েছে ওখানে। অনেক শিশু বাচ্চা আছে। ওই এলাকায় কিছুদিন আগেও একটি শিশু বাচ্চা পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে। এরপরও প্রশাসনের টনক নড়েনি। ফুলপুরকে ফুলের মত সাজাবে গুছাবে এরকম বুলি অনেকেই আওড়ালেও কাজের কাজ কাউকেই করতে দেখা যায় না। আশা করি, এ জনদুর্ভোগ থেকে পৌরসভার নাগরিকদের মুক্তি দিবেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা। সংবাদকর্মী হিসেবে এ চিত্রটি বারবার তুলে ধরেছি কিন্তু কোন সূরাহা হয়নি। অনেকবার এ বিষয়ে লেখালেখি করেছি। কিন্তু কে শুনে কার কথা? আমি আমার নিজের জন্য কি কিছু চেয়েছি? একজন সংবাদকর্মী হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণে যা করতে হয় তাই করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নজর দেওয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তবে যদিও বলা ঠিক নয় আবার না বলেও পারছি না; ফুলপুরে মুষ্টিমেয় কিছু সাংবাদিক রয়েছেন যারা তেল মারার উস্তাদ। তাদের মুখে এক রকম কথা আর অন্তরে আরেক রকম। বাহ্, কি চমৎকার! ফুলপুর পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ডে কিছুদিন পর পর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলে। কিছুদিন যাওয়ার পর আবার যেইসেই। তাহলে কি প্রশাসন ব্যর্থ? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। আবার বড় করে বিলবোর্ডটা নিয়ে লিখে রেখেছেন অনেক কথা আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ। তাহলে কি কর্তৃপক্ষও দুর্বল? এটাও সাধারণ মানুষের প্রশ্ন। কেন দুদিন পরপর গরিবের পেটে লাথি? কি দরকারে এ নাটক? যাই হোক, আরও অনেক কিছুই বলার ছিল, ছোট মুখে বড় কথা হয়ে যাবে তাই বললাম না। ফুলপুরে তো অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে; পৌরসভা থেকে উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যন্ত বহু কাজ হচ্ছে। তবে কেন দিউ এলাকার মানুষ অবহেলিত? ৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের এটা একটা প্রশ্ন। সৃষ্টিকর্তা সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমি সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সবাই ভালো থাকুন। প্রশাসনকে আবারও দিউ এলাকাসহ অবহেলিত এলাকাগুলোর প্রতি নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে আপাততঃ শেষ করছি। শেষমেশ তৈলবাজ সাংবাদিকদের বলবো, ভালো হয়ে যান। আপনাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।