দক্ষিণ হালিশহরে জামায়াতের মশক নিধন অভিযান:জনগণের কল্যাণেই আমাদের রাজনীতি
-
Reporter Name
- Update Time : ০৮:১১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
- ১০ Time View

মোঃ শহিদুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নিউমুরিং পূর্ব ও পশ্চিম সাংগঠনিক ওয়ার্ডের উদ্যোগে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বৃহৎ পরিসরে মশক নিধন স্প্রে কর্মসূচি পালিত হয়। নিউমুরিং লেবার কলোনি থেকে এমপিবি গেইট পর্যন্ত পুরো এলাকায়, বাড়ি-বাড়ি ও অলি-গলিতে মশা নিধনের জন্য স্প্রে করা হয়। নিউমুরিং পূর্ব ওয়ার্ড সভাপতি জি এম রাসেলের তত্ত্বাবধানে এ অভিযান পরিচালিত হয়। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কর্মপরিষদ সদস্য জনাব মোঃ ফখরুল ইসলাম। ফখরুল ইসলামের কঠোর হুঁশিয়ারির কন্ঠে বলেন,“জামায়াত জনগণের জন্য কাজ করে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জনগণের সেবা থেকে বঞ্চিত করেছে। তাদের শাসনামলে যখন আমরা এ ধরনের সেবামূলক উদ্যোগ নিতে চাইতাম, তখন মামলা, গ্রেপ্তার আর নির্যাতন দিয়ে আমাদের রাস্তায় নামতে দেওয়া হতো না। অথচ আজ আমরা ইউনিফর্ম পড়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পারছি—এটাই প্রমাণ করে যে জামায়াতকে দমন করা যায় না। আমরা থেমে থাকিনি, থামবও না। আল্লাহর রহমতে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে প্রকৃত অর্থেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।” তিনি আরও বলেনঃ“জনগণের অধিকার রক্ষায় আর আন্দোলনে নামতে হবে না। কারণ জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনায় আসলে জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার স্বতঃসিদ্ধভাবে পাবে। তাই আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে ১১ আসনের প্রার্থী জনাব শফিউল আলমকে বিজয়ী করুন—এটাই সময়ের দাবি।” তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে বলেন,“যদি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চান তবে সবাইকে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসতে হবে, সামাজিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। জামায়াত শুধু রাজনীতি করে না, জনগণের কল্যাণই আমাদের মূল লক্ষ্য।” মশা নিধন অভিযানে অংশ নেন স্থানীয় দায়িত্বশীল ও নেতৃবৃন্দ—মোঃ মাহাতাব উদ্দিন, মোঃ আউয়াল খান, কবির হোসেন, রাসেল খান, মোঃ মিরাজ হাওলাদারসহ সাংগঠনিক বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলে মশার উপদ্রব তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ অবস্থায় জামায়াতের এ উদ্যোগে সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন—“জনপ্রতিনিধিরা যেখানে চোখ বুজে আছে, সেখানে জামায়াত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকা প্রয়োজন।” এ অভিযান প্রমাণ করেছে—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেবল রাজনৈতিক সংগঠন নয়, বরং জনগণের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানো এক বাস্তব জনকল্যাণমুখী শক্তি।