Hi

ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভালুকায় জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের নামে মানহানি মামলার হুমকি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৭ Time View

বিশেষ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় চলাচলের রাস্তায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে জনদুর্ভোগ তৈরীর সংবাদ প্রকাশ করায় ৮ সাংবাদিকের নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানীমূলক মানহানি মামলার হুমকি দিয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন আ’লীগের দালাল ও ভূমিদস্যু আনছারুল ইসলাম। আনছারুল উপজেলার রাজৈ ইউনিয়নের মধ্য রাজৈ এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে।

জানা গেছে, আনছারুল তার অপকর্মের সহযোগী মোঃ মোস্তফা, মজিবুর রহমান ও আবুল কাশেম মিলে একই এলাকার কয়েকজনের নিরীহ মানুষের জমি বেদখল করে চলাচলের রাস্তায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। ফলে গৃহবন্দী হয়ে পড়ে অন্তত ৫টি পরিবার। স্থানীয়রা জানিয়েছে, আনছারুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, অন্যের জমি বেদখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানীসহ নানা অপকর্ম চালিয়েছে অবাধে।

এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, সরকার পরিবর্তনের আগে আনছারুল অন্তত হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে আ’লীগের প্রভাব খাটিয়ে। বেদখল করেছে শতশত এক ভূমি। শহরের বিভিন্ন জায়গায় গড়েছে বিশাল অট্টালিকা। এতকিছুর পরও টাকার ক্ষমতায় এখনো রয়ে গেছে প্রশাসনের ধরা-ছোয়ার বাহিরে। বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে এখনো তার বিচরণ বেশ দাপটীয়। এক সময় আওয়ামীলীগের এমপি মন্ত্রীদের সাথে চলাফেরা, ঘনিষ্ঠতা ও উঠাবসা থাকলেও পট-পরিবর্তনের পর পরই সখ্যতা গড়েছেন বিএনপি’র নেতাকর্মীর সাথে।

ভূক্তভোগীরা জানায়, আনছারুল একাই নয়! নেপথ্যে রয়েছে তারই চাচাত ভাই কিশোরগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) আজাহারুল ইসলাম রাকিব। লোক প্রবাদে রয়েছে, কাকের মাংস কাকে খায়না। তাইত আইনী সাহায্য চেয়েও সুফল পায়নি ভূক্তভোগীরা। রাকিব ভালুকা মডেল থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে হয়রানী শুরু করেন অসহায় পরিবারের উপর। এমনটাই জানিয়েছে ভূক্তভোগী ও স্থানীয়রা।

তার এসব অপকর্ম সাংবাদিকদের নজরে এলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া ও একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। আর তাতেই ক্ষেপে যান আনছারুল। হুমকি দেয়, গ্লোবাল টিভির থানা প্রতিনিধি শহিদুজ্জামান সবুজ, চ্যানেল এস’র প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক, নিউজ টুয়েন্টি ওয়ান থানা প্রতিনিধি, খালিকুজ্জামান জিএম, জেলা প্রতিনিধি আরিফুল হক পলাশ, দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের থানা প্রতিনিধি আল আমিন, চ্যানেল টুয়েন্টি ওয়ান এর থানা প্রতিনিধি হৃদয় আহমেদ ও সিএন বাংলা চ্যানেলের উপজেলা প্রতিনিধি শিপন রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভকে থামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে আনছারুল।

এ ব্যপারে সচেতনমহল ও সাংবাদিকরা ক্ষোভ ঝেরে বলেন, সাংবাদিকরা সুস্পষ্ট তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া সংবাদ প্রকাশ করে না। আনছারুলের মত একজন ভূমিদুস্যু, চাঁদাবাজ ও আ’লীগের প্রভাবশালী নেতা কিসের ক্ষমতায় এখনো প্রশাসনের নাকের ঢগা দিয়ে চলাফেরা করছে? সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি নিঃসন্দেহে জাতির কলঙ্কিত অধ্যায়! আনছারুলের এমন হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অতি দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান সাংবাদিকমহল।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

ভালুকায় পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের জনগণের মাঝে বিএনপির উপহার সামগ্রী বিতরণ

ভালুকায় জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের নামে মানহানি মামলার হুমকি

Update Time : ০২:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় চলাচলের রাস্তায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে জনদুর্ভোগ তৈরীর সংবাদ প্রকাশ করায় ৮ সাংবাদিকের নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানীমূলক মানহানি মামলার হুমকি দিয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন আ’লীগের দালাল ও ভূমিদস্যু আনছারুল ইসলাম। আনছারুল উপজেলার রাজৈ ইউনিয়নের মধ্য রাজৈ এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে।

জানা গেছে, আনছারুল তার অপকর্মের সহযোগী মোঃ মোস্তফা, মজিবুর রহমান ও আবুল কাশেম মিলে একই এলাকার কয়েকজনের নিরীহ মানুষের জমি বেদখল করে চলাচলের রাস্তায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। ফলে গৃহবন্দী হয়ে পড়ে অন্তত ৫টি পরিবার। স্থানীয়রা জানিয়েছে, আনছারুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, অন্যের জমি বেদখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানীসহ নানা অপকর্ম চালিয়েছে অবাধে।

এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, সরকার পরিবর্তনের আগে আনছারুল অন্তত হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে আ’লীগের প্রভাব খাটিয়ে। বেদখল করেছে শতশত এক ভূমি। শহরের বিভিন্ন জায়গায় গড়েছে বিশাল অট্টালিকা। এতকিছুর পরও টাকার ক্ষমতায় এখনো রয়ে গেছে প্রশাসনের ধরা-ছোয়ার বাহিরে। বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে এখনো তার বিচরণ বেশ দাপটীয়। এক সময় আওয়ামীলীগের এমপি মন্ত্রীদের সাথে চলাফেরা, ঘনিষ্ঠতা ও উঠাবসা থাকলেও পট-পরিবর্তনের পর পরই সখ্যতা গড়েছেন বিএনপি’র নেতাকর্মীর সাথে।

ভূক্তভোগীরা জানায়, আনছারুল একাই নয়! নেপথ্যে রয়েছে তারই চাচাত ভাই কিশোরগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) আজাহারুল ইসলাম রাকিব। লোক প্রবাদে রয়েছে, কাকের মাংস কাকে খায়না। তাইত আইনী সাহায্য চেয়েও সুফল পায়নি ভূক্তভোগীরা। রাকিব ভালুকা মডেল থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে হয়রানী শুরু করেন অসহায় পরিবারের উপর। এমনটাই জানিয়েছে ভূক্তভোগী ও স্থানীয়রা।

তার এসব অপকর্ম সাংবাদিকদের নজরে এলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া ও একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। আর তাতেই ক্ষেপে যান আনছারুল। হুমকি দেয়, গ্লোবাল টিভির থানা প্রতিনিধি শহিদুজ্জামান সবুজ, চ্যানেল এস’র প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক, নিউজ টুয়েন্টি ওয়ান থানা প্রতিনিধি, খালিকুজ্জামান জিএম, জেলা প্রতিনিধি আরিফুল হক পলাশ, দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের থানা প্রতিনিধি আল আমিন, চ্যানেল টুয়েন্টি ওয়ান এর থানা প্রতিনিধি হৃদয় আহমেদ ও সিএন বাংলা চ্যানেলের উপজেলা প্রতিনিধি শিপন রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভকে থামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে আনছারুল।

এ ব্যপারে সচেতনমহল ও সাংবাদিকরা ক্ষোভ ঝেরে বলেন, সাংবাদিকরা সুস্পষ্ট তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া সংবাদ প্রকাশ করে না। আনছারুলের মত একজন ভূমিদুস্যু, চাঁদাবাজ ও আ’লীগের প্রভাবশালী নেতা কিসের ক্ষমতায় এখনো প্রশাসনের নাকের ঢগা দিয়ে চলাফেরা করছে? সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি নিঃসন্দেহে জাতির কলঙ্কিত অধ্যায়! আনছারুলের এমন হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অতি দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান সাংবাদিকমহল।