Hi

ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদক: সমাজের শত্রু, ঈমানের জন্য হুমকি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩৪ Time View

মুফতি মাওলানা শামীম আহমেদ: – ইসলাম এমন এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান যা মানুষের আত্মা, মন ও শরীরকে পবিত্র রাখতে সাহায্য করে। ইসলামে যেকোনো নেশাজাতীয় বস্তু কঠোরভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা কোরআনে ইরশাদ করেছেন— হে ঈমানদারগণ! মদ, জুয়া, প্রতিমা ও ভাগ্য নির্ধারণের শরবতসমূহ অপবিত্র, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা এগুলো থেকে দূরে থাকো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (সুরা মায়েদাহ: ৯০) রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— ” যা বেশি খেলে নেশা হয়, অল্প খেলে হারাম হয় (আবু দাউদ) এ থেকে স্পষ্ট যে মাদক—যে রূপেই হোক না কেন—হারাম। ইসলামী শরীয়তে মাদক সেবনকারীর জন্য বেত্রাঘাতের শাস্তি নির্ধারিত আছে। যদি কেউ তওবা ছাড়া মৃত্যুবরণ করে তবে তার জান্নাত পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। মাদকমুক্ত সমাজে নাগরিকের দায়িত্ব মাদক কেবল ব্যক্তিকে নয়, পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে। তাই মাদকবিরোধী লড়াই কেবল সরকারের কাজ নয়; সচেতন নাগরিকদেরও করণীয় রয়েছে— পরিবারে ইসলামী শিক্ষা ও নৈতিকতা চর্চা বাড়ানো। তরুণদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমে যুক্ত করা। পাড়া-মহল্লায় সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীর তথ্য প্রশাসনকে জানানো। মসজিদ ও সামাজিক সংগঠনে মাদকবিরোধী ওয়াজ মাহফিল আয়োজন। মাদকমুক্ত সমাজ গঠন শুধু সামাজিক দায়িত্ব নয়, এটি ইসলামী দায়িত্বও। আমাদের উচিত মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো এবং আমাদের পরিবার, সমাজ ও প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখা।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

ভালুকায় পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের জনগণের মাঝে বিএনপির উপহার সামগ্রী বিতরণ

মাদক: সমাজের শত্রু, ঈমানের জন্য হুমকি

Update Time : ০৭:৫২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুফতি মাওলানা শামীম আহমেদ: – ইসলাম এমন এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান যা মানুষের আত্মা, মন ও শরীরকে পবিত্র রাখতে সাহায্য করে। ইসলামে যেকোনো নেশাজাতীয় বস্তু কঠোরভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা কোরআনে ইরশাদ করেছেন— হে ঈমানদারগণ! মদ, জুয়া, প্রতিমা ও ভাগ্য নির্ধারণের শরবতসমূহ অপবিত্র, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা এগুলো থেকে দূরে থাকো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (সুরা মায়েদাহ: ৯০) রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— ” যা বেশি খেলে নেশা হয়, অল্প খেলে হারাম হয় (আবু দাউদ) এ থেকে স্পষ্ট যে মাদক—যে রূপেই হোক না কেন—হারাম। ইসলামী শরীয়তে মাদক সেবনকারীর জন্য বেত্রাঘাতের শাস্তি নির্ধারিত আছে। যদি কেউ তওবা ছাড়া মৃত্যুবরণ করে তবে তার জান্নাত পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। মাদকমুক্ত সমাজে নাগরিকের দায়িত্ব মাদক কেবল ব্যক্তিকে নয়, পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে। তাই মাদকবিরোধী লড়াই কেবল সরকারের কাজ নয়; সচেতন নাগরিকদেরও করণীয় রয়েছে— পরিবারে ইসলামী শিক্ষা ও নৈতিকতা চর্চা বাড়ানো। তরুণদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমে যুক্ত করা। পাড়া-মহল্লায় সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীর তথ্য প্রশাসনকে জানানো। মসজিদ ও সামাজিক সংগঠনে মাদকবিরোধী ওয়াজ মাহফিল আয়োজন। মাদকমুক্ত সমাজ গঠন শুধু সামাজিক দায়িত্ব নয়, এটি ইসলামী দায়িত্বও। আমাদের উচিত মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো এবং আমাদের পরিবার, সমাজ ও প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখা।