Hi

ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ এ এগিয়ে মেয়েরা, কমেছে পাসের হার

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২৫:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • ১৬১ Time View

 গোলাম কিবরিয়া পলাশ  ময়মনসিংহঃ এসএসসি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এবারের ফলাফলে পাশের হার ৫৮.২২ শতাংশ। এবার গত বছরের তুলনায় অনেকটা নিম্নমুখী। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ সময় বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, চলতি বছরে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৫৫৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলে। এর মধ্যে পাস করেছে ৬১ হাজার ৪৫৬ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৬৭৮ জন পরীক্ষার্থী। এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ হাজার ১২৩ জন ছাত্র এবং ৩ হাজার ৫৫৫ জন ছাত্রী রয়েছেন। এছাড়া জেলাভিত্তিক ফলাফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জামালপুরে মোট ২৫ হাজার ৭৮৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৫ হাজার ৩৩৬ জন (পাশের হার ৫৯.৪৬%), নেত্রকোণায় ১৯ হাজার ৪১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১ হাজার ৬৬৯ জন (পাশের হার ৬০.০৮%), ময়মনসিংহে ৪৫ হাজার ৮৫৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৬ হাজার ৬৯১ জন (পাশের হার ৫৮.২০%) এবং শেরপুরে ১৪ হাজার ৪৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭ হাজার ৭৬০ জন (পাশের হার ৫৩.৫৪%)। ছেলেদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৫৩ হাজার ৭৭২ জন। এরমধ্যে পাস করেন ২৯ হাজার ৬১২ জন। আর মেয়েদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৫১ হাজার ৭৮৬ জন। এরমধ্যে পাস করেন ৩১ হাজার ৮৪৪ জন। মোট পাস শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬১ হাজার ৪৫৬ জন। পাসের হার ৫৮.২২ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ হাজার ৬৭৮ জন। এরমধ্যে ছেলেদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ১২৬ জন ও মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৫২ জন। ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আরও বলেন, সামগ্রিকভাবে পাশের হার আশানুরূপ না হলেও শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে ছাত্রীদের ধারাবাহিক অগ্রগতি আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে। আগামী দিনে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এদিকে অভিভাবক মহল ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের একাংশ মনে করছেন- করোনা পরবর্তী শিক্ষার ধাক্কা, টেকসই অনুশীলনের অভাব এবং গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার পরিকাঠামোগত দুর্বলতা এই ফলাফলের পেছনে অন্যতম কারণ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

ভালুকায় পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের জনগণের মাঝে বিএনপির উপহার সামগ্রী বিতরণ

ময়মনসিংহে শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ এ এগিয়ে মেয়েরা, কমেছে পাসের হার

Update Time : ১০:২৫:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 গোলাম কিবরিয়া পলাশ  ময়মনসিংহঃ এসএসসি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এবারের ফলাফলে পাশের হার ৫৮.২২ শতাংশ। এবার গত বছরের তুলনায় অনেকটা নিম্নমুখী। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ সময় বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, চলতি বছরে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৫৫৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলে। এর মধ্যে পাস করেছে ৬১ হাজার ৪৫৬ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৬৭৮ জন পরীক্ষার্থী। এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ হাজার ১২৩ জন ছাত্র এবং ৩ হাজার ৫৫৫ জন ছাত্রী রয়েছেন। এছাড়া জেলাভিত্তিক ফলাফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জামালপুরে মোট ২৫ হাজার ৭৮৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৫ হাজার ৩৩৬ জন (পাশের হার ৫৯.৪৬%), নেত্রকোণায় ১৯ হাজার ৪১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১ হাজার ৬৬৯ জন (পাশের হার ৬০.০৮%), ময়মনসিংহে ৪৫ হাজার ৮৫৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৬ হাজার ৬৯১ জন (পাশের হার ৫৮.২০%) এবং শেরপুরে ১৪ হাজার ৪৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭ হাজার ৭৬০ জন (পাশের হার ৫৩.৫৪%)। ছেলেদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৫৩ হাজার ৭৭২ জন। এরমধ্যে পাস করেন ২৯ হাজার ৬১২ জন। আর মেয়েদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৫১ হাজার ৭৮৬ জন। এরমধ্যে পাস করেন ৩১ হাজার ৮৪৪ জন। মোট পাস শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬১ হাজার ৪৫৬ জন। পাসের হার ৫৮.২২ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ হাজার ৬৭৮ জন। এরমধ্যে ছেলেদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ১২৬ জন ও মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৫২ জন। ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আরও বলেন, সামগ্রিকভাবে পাশের হার আশানুরূপ না হলেও শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে ছাত্রীদের ধারাবাহিক অগ্রগতি আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে। আগামী দিনে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এদিকে অভিভাবক মহল ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের একাংশ মনে করছেন- করোনা পরবর্তী শিক্ষার ধাক্কা, টেকসই অনুশীলনের অভাব এবং গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার পরিকাঠামোগত দুর্বলতা এই ফলাফলের পেছনে অন্যতম কারণ।