Hi

ঢাকা ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কবি মুহম্মদ শফি এবার পেলেন বৃক্ষপ্রেমী সংগীতগুরু রবিন মল্লিক সম্মাননা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:০৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৩ Time View

 শামীম আখতার (নিজস্ব প্রতিবেদক)  কবি, নাট্যকার, গবেষক ও সব্যসাচী লেখক মুহম্মদ শফি এবার পেলেন বৃক্ষপ্রেমী সংগীতগুরু রবিন মল্লিক সম্মাননা-২০২৫। গত ২৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে বৃক্ষপ্রেমী সঙ্গীতগুরু রবীন মল্লিক শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুহম্মদ শফি এই সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাহিত্য সামগ্রিক অবদানের জন্য মুহম্মদ শফিকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন বৃক্ষপ্রেমী সংগীতগুরু রবিন মল্লিক শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রফেসর ড. সন্দীপক মল্লিক। কবি মুহম্মদ শফি এমনই একজন লেখক যে, তাঁর অসাধারণ লেখনী এবং বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন দেশের বাইরে চীন, জাপান, আমেরিকা, ব্রিটেন ও ভারত থেকে। দেশেও পুরস্কার এবং সম্মাননা পেয়েছেন অজস্র।পেয়েছেন কাব্যাচার্য, বঙ্গশ্রী, নাট্যভূষণ খেতাব। মুহম্মদ শফির লেখা কবিতা, নাটক, ছোটগল্প, উপন্যাস, শিশু সাহিত্য, প্রবন্ধ-গবেষণা, জীবনী, ইতিহাস, সম্পাদনা ইত্যাদি মিলিয়ে এ যাবৎ ৮৮টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। মুহম্মদ শফির নাটকের অসংখ্য প্রদর্শনী হয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ও মঞ্চে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ওপর নাটক লিখেছেন। লিখেছেন ছোটদের জন্যেও। এক সময় যাত্রাপালাও লিখেছেন তিনি। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর বেদনাকরুণ জীবনালেখ্য অবলম্বনে যাত্রাপালা রচনা করে আশির দশকের শুরুতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। লেখেন পথনাটক বা মোবাইল ড্রামা। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের গণ-আন্দোলনে এ সকল পথনাটকের প্রদর্শনী ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশে প্যালেস্টাইন লেবারেশনের ওপরেও একই সাথে প্রথম বেতার ও মঞ্চনাটক রচনা করেন।  কবি মুহম্মদ শফি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাট্যগোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশের প্রগতিশীল নাট্যান্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন ও বাংলাদেশে প্রযুক্ত ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের অভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন বাতিলের দাবির প্রশ্নে সোচ্চার হন এবং এ ব্যাপারে এক অভিসর্ন্দভ প্রকাশ করেন। দেশ ও জাতির অহংকার মহামনীষীদের জীবন ও অবদানকে উপজীব্য করে নাট্যরচনা মুহম্মদ শফির অন্যতম শ্রেষ্ঠ অবদান। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক স্তরসহ বিশ্ববিদ্যালয়েও তাঁর নাটক পাঠ্যসূচিভুক্ত করা হয়েছে।  মুহম্মদ শফি সুদীর্ঘকাল ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মতিঝিল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলা বিভাগে শিক্ষকতার পাশাপাশি গ্রন্থাগার পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা শেষে বর্তমানে যশোরের কেশবপুর পৌরসভার ভবানীপুর নিজ বাড়িতে তিনি অবসর জীবনের ফাঁকে আত্মজীবনী রচনার কাজ করছেন। তিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য। মুহম্মদ শফি বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংসদ (বাসাসেস) এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং কেশবপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। মুহম্মদ শফির সাফল্যে সত্যিই  প্রশংসনীয় ও গর্বের।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

ভালুকায় পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের জনগণের মাঝে বিএনপির উপহার সামগ্রী বিতরণ

কবি মুহম্মদ শফি এবার পেলেন বৃক্ষপ্রেমী সংগীতগুরু রবিন মল্লিক সম্মাননা

Update Time : ০৭:০৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

 শামীম আখতার (নিজস্ব প্রতিবেদক)  কবি, নাট্যকার, গবেষক ও সব্যসাচী লেখক মুহম্মদ শফি এবার পেলেন বৃক্ষপ্রেমী সংগীতগুরু রবিন মল্লিক সম্মাননা-২০২৫। গত ২৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে বৃক্ষপ্রেমী সঙ্গীতগুরু রবীন মল্লিক শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুহম্মদ শফি এই সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাহিত্য সামগ্রিক অবদানের জন্য মুহম্মদ শফিকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন বৃক্ষপ্রেমী সংগীতগুরু রবিন মল্লিক শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রফেসর ড. সন্দীপক মল্লিক। কবি মুহম্মদ শফি এমনই একজন লেখক যে, তাঁর অসাধারণ লেখনী এবং বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন দেশের বাইরে চীন, জাপান, আমেরিকা, ব্রিটেন ও ভারত থেকে। দেশেও পুরস্কার এবং সম্মাননা পেয়েছেন অজস্র।পেয়েছেন কাব্যাচার্য, বঙ্গশ্রী, নাট্যভূষণ খেতাব। মুহম্মদ শফির লেখা কবিতা, নাটক, ছোটগল্প, উপন্যাস, শিশু সাহিত্য, প্রবন্ধ-গবেষণা, জীবনী, ইতিহাস, সম্পাদনা ইত্যাদি মিলিয়ে এ যাবৎ ৮৮টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। মুহম্মদ শফির নাটকের অসংখ্য প্রদর্শনী হয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ও মঞ্চে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ওপর নাটক লিখেছেন। লিখেছেন ছোটদের জন্যেও। এক সময় যাত্রাপালাও লিখেছেন তিনি। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর বেদনাকরুণ জীবনালেখ্য অবলম্বনে যাত্রাপালা রচনা করে আশির দশকের শুরুতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। লেখেন পথনাটক বা মোবাইল ড্রামা। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের গণ-আন্দোলনে এ সকল পথনাটকের প্রদর্শনী ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশে প্যালেস্টাইন লেবারেশনের ওপরেও একই সাথে প্রথম বেতার ও মঞ্চনাটক রচনা করেন।  কবি মুহম্মদ শফি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাট্যগোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশের প্রগতিশীল নাট্যান্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন ও বাংলাদেশে প্রযুক্ত ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের অভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন বাতিলের দাবির প্রশ্নে সোচ্চার হন এবং এ ব্যাপারে এক অভিসর্ন্দভ প্রকাশ করেন। দেশ ও জাতির অহংকার মহামনীষীদের জীবন ও অবদানকে উপজীব্য করে নাট্যরচনা মুহম্মদ শফির অন্যতম শ্রেষ্ঠ অবদান। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক স্তরসহ বিশ্ববিদ্যালয়েও তাঁর নাটক পাঠ্যসূচিভুক্ত করা হয়েছে।  মুহম্মদ শফি সুদীর্ঘকাল ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মতিঝিল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলা বিভাগে শিক্ষকতার পাশাপাশি গ্রন্থাগার পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা শেষে বর্তমানে যশোরের কেশবপুর পৌরসভার ভবানীপুর নিজ বাড়িতে তিনি অবসর জীবনের ফাঁকে আত্মজীবনী রচনার কাজ করছেন। তিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য। মুহম্মদ শফি বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংসদ (বাসাসেস) এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং কেশবপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। মুহম্মদ শফির সাফল্যে সত্যিই  প্রশংসনীয় ও গর্বের।