আমানতদার মুসলিম মানবতার আদর্শ
-
Reporter Name
- Update Time : ০৬:২১:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- ১৪ Time View

মুফতি মাওলানা শামীম আহমেদ:- আমানতদারিত্ব ইসলামের একটি মৌলিক শিক্ষা। কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন— إِنَّ اللّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا “নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারের কাছে পৌঁছে দাও।” (সূরা নিসা: ৫৮) রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন— “لا إيمان لمن لا أمانة له” “যার মধ্যে আমানতদারিত্ব নেই, তার মধ্যে ঈমান নেই।”মুসনাদ আহমাদ) এ থেকে বোঝা যায়, আমানত রক্ষা করা শুধুমাত্র সামাজিক কর্তব্য নয়; বরং এটি ঈমানের অংশ। আমানত বলতে শুধু টাকা-পয়সা বোঝায় না—বরং দায়িত্ব, পদমর্যাদা, প্রতিশ্রুতি, এমনকি নিজের চরিত্রও একটি আমানত। সততা ও স্বচ্ছতা: প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না, কারও অধিকার নষ্ট করেন না।ন্যায়পরায়ণতা: শত্রু হলেও তার হক ফিরিয়ে দেন।বিশ্বাসযোগ্যতা: সমাজে তার প্রতি মানুষের আস্থা থাকে। মক্কায় নবীজি ﷺ কে সবাই ডাকত আল-আমিন (বিশ্বাসযোগ্য)। হিজরতের রাতেও তিনি শত্রুদের আমানত হযরত আলী (রাঃ)-এর কাছে রেখে গিয়েছিলেন, যাতে তা যথাযথভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ইসলামের এই শিক্ষা আজও সমানভাবে প্রযোজ্য। একজন আমানতদার মুসলিম শুধু মুসলমানদের নয়, অমুসলিমদের প্রতিও ন্যায়বিচার করেন। তার চরিত্র মানুষের আস্থা অর্জন করে এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে। দুর্নীতি ও প্রতারণার যুগে একজন আমানতদার মুসলিমই প্রকৃত মানবতার প্রতীক। আমানত রক্ষা ঈমানের পরিচায়ক। মুসলিম সমাজে যদি প্রত্যেকে আমানতদার হয়ে যায়, তবে সমাজ হবে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক। আমানতদার মুসলিমের হাতেই মানবতার প্রকৃত কল্যাণ নিহিত।